Bangladesh Death: গাড়ির উপর ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতুর অংশ, নিহত শিশু-সহ ৪
পুলিস জানিয়েছে, গার্ডারটি পড়ার সময়ে গাড়িটির ভিতরে ছ`জনের মতো যাত্রী ছিলেন। দুজনকে বের করা সম্ভবপর হয়েছে। বাকি ৪ জন এখনও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ওই গাড়িটির ভিতরে আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশের ঢাকার উত্তরায় একটি প্রকল্পের কাজ চলার সময় যাত্রীবাহী একটি প্রাইভেট কারের উপর সেতুর গার্ডার এসে পড়ে। এতে ১ শিশু-সহ অন্তত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সে দেশের পুলিস। উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি বলেন, গার্ডারের নিচে চাপা পড়ে থাকা প্রাইভেট কারের মধ্যে অন্তত তিনজন মারা গেছেন বলে মনে করছি। সোমবার বিকেল ৪টে নাগাদ উত্তরার জসিমউদ্দীন এলাকার প্যারাডাইস টাওয়ারের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে। পুলিস জানিয়েছে, গার্ডারটি পড়ার সময়ে গাড়িটির ভিতরে ছ'জনের মতো যাত্রী ছিলেন। দুজনকে বের করা সম্ভবপর হয়েছে। বাকি ৪ জন এখনও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া ওই গাড়িটির ভিতরে আটকে আছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একটি ক্রেন দিয়ে গার্ডারটি ওঠানোর সময় গাজিপুরগামী গাড়িটির উপর সেটি এসে পড়ে। সঙ্গে সেটি দুমড়েমুচড়ে যায়। আহত দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কারওরই পরিচয় এখনও জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসেন। তবে ভিড়ের কারণে কাজ শুরু করতে প্রাথমিক ভাবে বেগ পেতে হয় তাঁদের। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেও অবশ্য তাঁরা গাড়ির উপর থেকে গার্ডারটিকে সরাতে পারেননি। পুলিস জানিয়েছে, সব রকম ভাবে গার্ডারটি সরানোর প্রক্রিয়া চলছে।
আরও পড়ুন: Bangladesh Dhaka Fire: ঢাকার চকবাজারে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড, ঝলসে মৃত কমপক্ষে ৬
প্রসঙ্গত, ঢাকায় এক বিধ্বংসী আগুনে ১৫ অগস্টের দিনেই ৬ জন মারা গিয়েছেন। ঢাকার চকবাজারে সোমবারই বেলা ১২টা নাগাদ আগুন লাগে। চকবাজার এলাকার দেবীঘাটের একটি বহুতল ভবনে। প্রায় আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন দমকলকর্মীরা। ইতিমধ্যে অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৬ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে এখনও পর্যন্ত ৬ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজ বহু। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, দেবীঘাটের ওই বহুতল ভবনের এক তলায় থাকা বরিশাল হোটেল থেকেই আগুন ছড়ায়। সম্ভবত সিলিন্ডার বিস্ফোরণের জেরেই এই আগুন লাগে। রাতে হোটেলের কাজ সেরে কর্মীরা উপরের তলায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তখনই আগুন লাগে। মৃত ও জখমদের মধ্যে বেশিরভাগই হোটেলকর্মী। দমকলের ১০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আড়াই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছিল।