জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নদীতে দুর্ঘটনার কথা আমরা প্রায়ই শুনতে পাই। তবে এবার ঘটল এক আশ্চর্য ঘটনা। তিন দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন এক যুবক। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ মার্চ বুধবার সকালে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয় ইছামতী নদী থেকে। তবে সবচেয়ে চমকপ্রদ বিষয় হল, মৃতদেহ একা নদীতে ভেসে ওঠেনি। তাঁর সঙ্গে ভেসে উঠেছে ৫ কেজি ২০০ গ্রাম। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটে, যশোরের শার্শা উপজেলার গোগা সীমান্তের ইছামতী নদীতে। মৃত ব্যক্তির নাম মশিয়ার রহমান। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। পুলিস জানিয়েছেন, গত তিন দিন ধরে এই মশিয়ার নিখোঁজ ছিলেন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিস মৃতদেহটি উদ্ধার করে। জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি একজন চোরাকারবারি।


আরও পড়ুন: Frankfurt | Germany: রমজানের আলোয় সেজে উঠল জার্মানি! ইতিহাসে এই প্রথম...


বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরসিদ আলম জানান, মৃতদেহটি ৫ কেজি ২০০ গ্রাম সোনাতে বাঁধা ছিল। যাতে ৪০ টি সোনার বারও ছিল। যার বাজারমূল্য ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রের খবর, একটি সোনার চালান নিয়ে গত রবিবার ১০ মার্চ ইছামতী নদী দিয়ে ভারতের পিপলি সীমান্তে প্রবেশের সময় নদীতে ডুবে যান মশিয়ার। 


সেই সময় থেকেই মশিয়ারকে উদ্ধারকার্য লেগে পড়েন পুলিস। তিন দিন ধরে তাঁকে খোঁজার চেষ্টা চালায় বিজিবি, পুলিশৃস, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তবে ভারতের অংশে প্রবেশে বিএসএফ বাধা দেওয়ার ডুবুরিরা মরদেহ উদ্ধারে ব্যর্থ হন।


অবশেষে তিন দিন পর ঘটনাস্থল থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে ভেসে ওঠে মশিয়ার দেহ। স্থানীয়রা প্রথমে তাঁর মৃতদেহ দেখতে পায়। এবং সঙ্গে সঙ্গে বিজিবি ও পুলিসকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে বিজিবি সদস্যরা মৃতদেহ উদ্ধার করে এবং শার্শা থানা পুলিসের কাছে হস্তান্তর করে। 


আরও পড়ুন: Aaron Bushnell: গায়ে আগুন দেওয়া মার্কিন সেনা অ্যারন বুশনেলের নামে নামকরণ করা হল প্যালেস্টাইনের রাস্তার...


জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন হাবিবুর রহমান, জামাল হোসেন ও রহিম বক্স নামের তিনজন চোরাকারবারি মশিয়ারকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। মশিয়ারের বাড়ির লোকেরা তাঁর হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছে। 


নিহত মশিয়ারের ছেলে হাছানুজ্জামান বলেন, 'গত রবিবার বাবা বাড়িতে দুপুরের খাবার খাচ্ছিলেন। এমন সময় তাঁরা ডেকে নিয়ে যান। সন্ধ্যে ঘনিয়ে গেলে বাবা বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় খুঁজতে থাকি। পরে মঙ্গলবার শার্শা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। আজ মৃতদেহ উদ্ধার করা হল।' স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তবিবর রহমান বলেন, 'নদীতে ভেসে থাকা মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে প্রশাসনের সহযোগিতা চাই।'


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)