নিজস্ব প্রতিবেদন— ৫১৫ জন। দালালরা বলেছিল, ওঁদের সবাইকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াতে প্রবেশ করিয়ে দেবে। কিন্তু দুবার চেষ্টা করেও মালয়েশিয়ায় ঢোকার চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাঁদের। এর পর শুরু হয় খাবার সংকট, অসুস্থতা ও দালালদের নির্যাতন। খাবার না পেয়ে এবং অসুস্থতায় মারা যান ৫০ জন। কিন্তু ফেরার উপায় নেই। সাগরে ভেসে থাকা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। ৫১৫ জন রোহিঙ্গার মধ্যে একজন আনোয়ার মালেক। এই রোহিঙ্গা যুবক জানিয়েছেন ৫১৫ জনের ৭৮ দিন বঙ্গোপসাগরে ভেসে থাকার বিভীষিকাময় কাহিনী। বাংলাদেশের টেকনাফের শামলাপুর পয়েন্ট থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। মৃতপ্রায় অবস্থায়। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আনোয়র জানিয়েছেন, দুমাস ১৮ দিন আগে ঢাকার কক্সবাজারের মহেশখালি থেকে দালালদের ফিশিং ট্রলারে ওঠেন তিনি। দালালদের মোটা টাকা দিয়েছিলেন তিনি। দালালরা তাঁকে নিয়ে যায় মাঝসমুদ্রে থাকা বড় একটি ট্রলারের কাছে। মোট ৫১৫ জন রোহিঙ্গাকে ওই বড় ট্রলারে তোলা হয়। দিনসাতেকের মধ্যে থাইল্যান্ড উপকূলে পৌঁছানো হয় তাঁদের। সেখান থেকে দুই দফায় মালয়েশিয়া প্রবেশের চেষ্টা চালায় দালাল চক্র। কিন্তু উদ্দেশ্য সফল হয়নি। ৫১৫ জনকে আবার ট্রলারে চাপিয়ে ফিরিয়ে আনা হয় মাঝসমুদ্রে। এর পর দালালদের সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় তাঁদের। এর মধ্যে আবার বাংলাদেশের দিকে ফিরিয়ে আনা হয় ট্রলার। প্রথমে বাংলাদেশের একটি চরে রাখা হয় ট্রলার। তার পর শামলাপুর অঞ্চলের একটি পাহাড়ে লুকিয়ে রাখা হয় দালালদের সেই ট্রলার।


আরও পড়ুন— প্রথমবার বন্ধ এভারেস্ট! তিন হাজার শেরপা বেকার, বাধ্য হলেন পেশা বদলাতে


বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা দিনের পর দিন আরও জটিল হচ্ছে। বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা। মাদক, অস্ত্র চালান, চুরি, ডাকাতির মতো ঘটনাও বেড়ে চলেছে। আর সব ক্ষেত্রেই রোহিঙ্গাদের যোগ মিলছে। দারিদ্রের তাড়নায় বহু রোহিঙ্গা মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করে বহুদিন ধরে। ৫১৫ জন রোহিঙ্গার মালয়েশিয়ায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা আরও একবার বাংলাদেশের কোস্ট গার্ড ও বিজিবি—র ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল।