জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৯ ডিসেম্বর ঘটে যায় মহাবিপত্তি। নৌকা উল্টে মৃত্যু হয় ৬৯ জনের। সূত্র অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার প্রশাসনের বিবৃতি অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে ২৫ জন মালির নাগরিক আশি জন পরিযায়ী শ্রমিককে নিয়ে পাড়ি দেওয়া নৌকাটির ১১ জন যাত্রীকে উদ্ধার করা গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ন’জন মালির।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: South Korea Plane Crash Updates: শোকের বর্ষশেষ! হু-হু করে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, এখনই ১২২! ভস্মীভূত বিমানে একজনও কি জীবিত আছেন?


এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম আফ্রিকা থেকে স্পেনের ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে যাওয়ার পথে আটলান্টিকে। জাহাজটির নাম 'মেকশিফট নৌকো'টি মোট ৮০ জন নিয়ে বেড়িয়েছিল। কিন্তু বেঁচেফিরলেন মাত্র ১১ জন। 


স্পেনের মূল ভূখণ্ড থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জ অনেকটাই দূরে। আফ্রিকা থেকে কাছে। মালি, সেনেগাল,  মরিটেনিয়ার মতো পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলির অনেক মানুষ রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং হিংসা থেকে বাঁচতে কাজের খোঁজে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে পাড়ি দেন। আটল্যান্টিক মহাসাগরের এই পথটি অতন্ত্য ঝুঁকিপূর্ণ। 


মালির মারিনা গোষ্ঠীর মেয়র তিনি জানিয়েছেন, মৃতদের মধ্যে ন’জন তাঁর গোষ্ঠীর যুবক। তাঁরা সাত মাস আগে মরিটেনিয়ার নির্মাণশিল্পে কাজ করবেন বলে বাড়ি ছেড়েছিলন। এই প্রসঙ্গে মেয়র বলেছেন, “ইউরোপ-আমেরিকার বন্ধুদের সঙ্গে ওদের যোগাযোগ ছিল। তারাই ওদের কাজের জন্য সেখানে যেতে বলত। অনেক ক্ষেত্রেই বাড়িতে কিছু না জানিয়েই চলেগিয়েছিল ওরা।” সমস্ত দিক দিয়েই দেখলে এইভাবে স্পেনের যাওয়ার চেষ্টায় প্রতিবছর ১০০০০ মানুষ মারা যান। আফ্রিকার পরিযায়ীদের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা এটি। কিছু সংস্থার মতে রোজ প্রায় ৩০ জন করে মৃত্যু হয়। কেন এই ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তা বেঁছে নেই আফ্রিকান পরিযায়ীরা কারণ মরক্কো থেকে স্পেনের মূল স্থলদেশের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার।  


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)