করোনা সংক্রমণের ভয়! ৯৩ টি মিংক হত্যা করল স্পেনের প্রশাসন
মিংক বেজির মতো দেখতে প্রাণী। গত ৫ মে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, যেসব প্রাণীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মিংক।
নিজস্ব প্রতিবেদন - বৈজ্ঞানিক তথ্য বলছে, সবার প্রথম বুনো বাদুড়ের মাধ্যমেই করোনা ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল। তবে বাদুর থেকে মানুষের শরীরে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস অন্য কোনও প্রাণী বহন করে এনেছিল কিনা তার অনেক কোনও প্রমাণ মেলেনি। অনেক প্রাণীর মধ্যেই করোনার উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যা মানুষের জন্য উদ্বেগের। কারণ এর মাধ্যমে আরো বেশি মাত্রায় ভাইরাস ছড়ানোর আশঙ্কা থেকে যায়। পশুপাখির পরীক্ষা নিরীক্ষা অপেক্ষাকৃত কম হয়। তাই তারা বছরের পর বছর ধরে প্রাণঘাতী ভাইরাস বয়ে বেড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর এই কারণেই স্পেনে ৯৩ হাজার মিংক হত্যা করা হয়েছে।
মিংক বেজির মতো দেখতে প্রাণী। গত ৫ মে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, যেসব প্রাণীর মধ্যে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম মিংক। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার সপ্তাহখানেক আগেই নেদারল্যান্ডসের দুটি পশমের খামারে কয়েকটি মিংক করোনাভাইরাস টেস্টে পজিটিভ হয়। এরপরই স্পেনের অ্যারাগন অঞ্চলের সরকার ৯৩ টি মিংক হত্যার ঘোষণা করে দেয়। কয়েকটি পশুপ্রেমী সংগঠন অবশ্য এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছিল। তাদের দাবি ছিল, কোনও প্রাণী থেকে মানুষের শরীরে সরাসরি সংক্রমনের এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণ নেই। তাই প্রাণীগুলোকে হত্যা না করে চিকিৎসা করলেই হয়। কিন্তু আরাগান অঞ্চলের প্রশাসন কোনও কথা শোনেনি।
আরও পড়ুন- চার মাস ধরে পার্কিং জোনে পড়ে রহস্যজনক গাড়ি, নম্বর প্লেটে লেখা Covid 19
অ্যারাগন কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, মানুষ থেকে প্রাণীর দেহে ভাইরাসটির সংক্রমণ ঘটেছে কিনা তার কোনো প্রমাণ মেলেনি। তবে নেহাত সতর্কতা হিসেবেই প্রাণীগুলোকে হত্যা করা হয়েছে।মে মাসে লা পুয়েবলা ডে ভালভার্দের মিংক ফার্ম এর সাতজন কর্মী করোনা পজিটিভ হয়েছিলেন। এরপরই ফরম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর থেকে বেশ কয়েকদিন মিংকগুলিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। সোমবার ৯০টি মিংকের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। ৭৮টি মিনকের মধ্যেই করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল বলে জানিয়েছে প্রশাসন। যদিও তাদের আচরণে কোনও অস্বাভাবিক ব্যাপার ছিল না। অসুস্থতার লক্ষণও ছিল না।