গলে গিয়ে বিচ্ছিন্ন দু’হাজার বর্গ মাইলের বরফ চাঁই
জুলাইয়ে দেখা যায় লার্সেন সি থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে বাকি বরফের চাঁই। যার নাম দেওয়া হয়েছে এ৬৮। সুমেরুরতে এর আগে যে সব হিমশৈল গলে গিয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছে, তার থেকে এর আয়তন অনেক বেশি বলে দাবি বিজ্ঞানীদের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: গলে যাচ্ছে সুমেরুর বরফের চাদর। আর এই গলনের ফলে টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছে বরফ চাঁই। খুব কাছ থেকে তোলা নাসার সাম্প্রতিক ছবিতে এমনটাই দেখা যাচ্ছে।
নাসার তোলা এই ছবি ইতিমধ্যেই বিজ্ঞানীদের কপালের ভাঁজ চওড়া করেছে। সুমেরুর সবচেয়ে বড় বরফের চাদর লার্সেন সি-র ফটল যে আরও চওড়া হচ্ছে, তা আগেই ধরা পড়েছিল। তবে জুলাইয়ে দেখা যায় লার্সেন সি থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে বাকি বরফের চাঁই। যার নাম দেওয়া হয়েছে এ৬৮। সুমেরুরতে এর আগে যে সব হিমশৈল গলে গিয়ে আলাদা হয়ে গিয়েছে, তার থেকে এর আয়তন অনেক বেশি বলে দাবি বিজ্ঞানীদের। মার্কিন স্টেট দেলাওয়ারের মতো এর আয়তন হবে বলে জানাচ্ছে বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- কয়েক আলোকবর্ষ দূরেই রসে-বসে রয়েছে পৃথিবীর মতো আরও একটি গ্রহ
নাসার-র তত্ত্বাবধানে পরিচালিত অপারেশন আইসব্রিজ-এর বিজ্ঞানী নাথান কুর্জ বলেন, “বিশাল আয়তনের বরফের চাদর মূল হিমশৈল থেকে আলাদা হয়ে গিয়েছে। যা দেখে স্তম্ভিত আমরা।” প্রায় ২২০০ বর্গ মাইল জুড়ে একটি বরফের চাদর লার্সেন সি হিমশৈল থেকে আলাদা হয়ে ভেসে বেড়াচ্ছে। তবে, এই বরফের চাদর গললে সমুদ্র জলস্তরে খুব একটা প্রভাব পড়বে না বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতি-শুক্রের বিবাদ মিটল? একসঙ্গে তাদের দেখে প্রশ্ন সোশ্যাল মিডিয়ার
বিজ্ঞানীদের দাবি, এটি কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয়। পরিবেশের এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণেই উত্তরোত্তর অবনতির দিকে যাচ্ছে সুমেরুর হিমশৈল।