নিজস্ব প্রতিবেদন- এখন তাঁর বয়স ২৬। আজ থেকে ২০ বছর আগে তাঁকে একটি মশা কামড়েছিল। সেই মশা কামড়ানোর পর থেকেই তাঁর জীবন বদলাতে শুরু করে। সব কিছু এলোমেলো হয়ে যায়। এখন আর তিনি হাঁটতেও পারেন না। কম্বোডিয়ার Kampong Chhnang প্রদেশের বং চেটের জীবন এখন পুরো বদলে গিয়েছে। ২০ বছর আগের মশার কামড়ের পর তাঁর জীবনে একের পর এক খারাপ ঘটনা ঘটেছে। কখনও স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়েছে। কখনও মাঠে যাওয়া বন্ধ। ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন বং চেট। কিন্তু সেই স্বপ্ন এই জীবনের মতো অধরাই থেকে গেল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০ বছর আগে বং চেটকে এক ধরণের মশা কামড়েছিল। পায়ে হালকা আচড়ের দাগ নিয়ে মাঠ থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। বাড়ির লোক সামান্য আচড় ভেবে আর সেই ঘা নিয়ে মাথা ঘামাননি। এর পর থেকেই বং চেটের পা বেলুনের মতো ফুলতে থাকে। ১২ বছর বয়সে বং চেটের পা সাধারণ মানুষের থেকে পাঁচ গুণ বেশি ফুলে যায়। বংয়ের বাবা মা শ্রমিক। তাই বড় ডাক্তারের কাছে ছেলেকে নিয়ে যেতে পারেননি। স্থানীয় ডাক্তাররা বছরের পর বছর ধরেও তাঁর আসল সমস্যা ধরতে পারেননি। এর পর ধীরে ধীরে একেবারেই হাঁটা-চলা বন্ধ হয়ে যায় বং-এর। এখন তাঁর সারাদিন বাড়িতে বসে কাটে। পা এতটাই ফুল থাকে যে তিনি নাড়াতে পারেন না। 


দিনকয়েক আগে এক দম্পতি বং চেটের অবস্থার কথা জানতে পারেন। তাঁরা বংকে চিকিত্সার জন্য আড়াই হাজার ডলার অর্থাত্ প্রায় এক লাখ ৮২ হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য করবেন বলে জানান। এর পর বংকে ভাল চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। চিকিত্সকরা জানান, বং Lymphatic Filariasis
রোগে আক্রান্ত। এই রোগ এক ধরণের পোকা থেকে ছড়ায়। আর সেই পোকা শরীরে ঢোকে মশার কামড়ের মাধ্যমে। এই রোগের কোনও টীকা এখনও আবিষ্কার হয়নি। তবে ২০১৮ সালে এক ভারতীয় এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল। তাঁর পায়ের ওজন প্রায় ৩০ পাউন্ড কমাতে পেরেছিলেন চিকিত্সকরা। এবার বংয়ের অস্ত্রোপচার হবে। সব কিছু ঠিক থাকলে আবার হয়তো হাঁটতে পারবেন তিনি।