নিজস্ব প্রতিবেদন- বাংলাদেশের ঢাকায় শ্যামবাজারের কাছে বুড়িগঙ্গায় দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে একটি ডুবে যায়। সোমবারের ঘটনা। সোমবার ভোর চারটে নাগাদ চাঁদপুর থেকে ময়ূর-২ নামে একটি লঞ্চ যাত্রী নামায় লালকুঠি ঘাটে। এর পর চাঁদপুর ফিরে যাওয়ার জন্য ঘুরতেই পেছনে থাকা মর্নিং বার্ড নামে আরেকটি লঞ্চের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। মর্নি বার্ড নামের লঞ্চটি প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ডুবে যায়। এর পর ৩০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। নিখোঁজ ছিলেন আরো অনেকে। তবে এই লঞ্চডুবির ১৩ ঘণ্টা পর একজন যাত্রীকে উদ্ধার করেছএ উদ্ধারকারী দল। তিনি নাকি ১৩ ঘণ্টা জলের নিচে বেঁচে ছিলেন! মর্নি বার্ড লঞ্চ থেকে তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

উদ্ধার হওয়া যাত্রীর নাম সুমন ব্যাপারি। তিনি নাকি ডুবে যাওয়া লঞ্চের এমন জায়গা আটকে ছিলেন যেখানে অক্সিজেনের জোগান ছিল। তবে এই ঘটনায় অনেকে ভণ্ডামির অভিযোগ তুলেছেন। বাংলাদেশের অনেকে বলছেন, ওই ব্যক্তি আসলে উদ্ধারকারী দলেরই একজন। লঞ্চডুবি ঘটনা থেকে চোখ সরাতেই এই ঘটনার প্রচার করা হচ্ছে। আবার বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞদের মত, এমন ঘটনা অলৌকিক নয়। বাস্তবে সম্ভব। হয়তো বাতাসের চাপে লঞ্চের কোনও এক জায়গায় জল ঢোকেনি। আর সেখানেই আটকে ছিলেন ওই ব্যক্তি। ধীরে ধীরে শ্বাস নিয়ে ও মনের জোরে তিনি ১৩ ঘণ্টা বেঁচে ছিলেন। এর পর উদ্ধারকারী দল তাঁকে উদ্ধার করে! কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই এই ঘটনাকে বুজরুকি বলে দাবি করেছেন। তাঁদের দাবি, এমন ঘটনার কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই।


আরও পড়ুন-  অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার সামান্য টাকাও হাতে নেই, আদিবাসী মহিলার মৃতদেহ ভেসে গেল নদীতে


এর আগে বাংলাদেশের চাঁদপুরের ষাটনল এলাকায় দুজন ব্যক্তি এবং নারায়ণগঞ্জে একটি ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে একজনকে জীবন্ত উদ্ধার করা হয়েছিল। ফলে বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন ঘটনা কিন্তু প্রথম নয়। তা ছাড়া ঢাকার রানা প্লাজায় আগুন লাগার ১৭ দিন পর এক মহিলাকে ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছিল। ফলে এই ব্যক্তির ঘটনাও অবিশ্বাস করার মতো নয়। তবে আসল সত্যিটা কী, সেটা হয়তো সময় গড়ালে জানা যাবে!