নিজস্ব প্রতিবেদন- শুরু থেকেই ঠিক করেছিলেন, লকডাউন মেনে চলবেন। অকারণে বাড়ি থেকে বেরোবেন না। তিনি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোননি। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু জিনিস কিনতে তো বেরোতেই হবে। আর তাই একবার মাত্র মুদির দোকানে গিয়েছিলেন। ব্যস, তাতেই মহাবিপদ ঘটে গেল। দোকান থেকে ফেরার পর থেকেই শরীরে অস্বস্তি শুরু হয়ে যায় তাঁর। পরদিন থেকে ধুম জ্বর। সেইসঙ্গে শুরু হয় প্রবল কাশি আর গা, হাত—পায়ে ব্যথা। ক্রমশ শরীর অসাড় হতে শুরু হয়ে যায়। মার্কিন এই যুবককে এর পর সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া হসপিটালে ভর্তি করতে হয়। করোনা টেস্টে পজিটিভ হন তিনি। ৩১ বছর বয়সী সেই যুবক বেনজি হা স্বাস্থ্যবান। যাবতীয় সাবধানতা অবলম্বন করার পরও করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় তিনি নিজেই অবাক হয়ে গিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সেই যুবক জানিয়েছেন, তিনি মাত্র একবারই গ্রসারি শপ—এ গিয়েছিলেন। তাও যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই। মাস্ক, গ্লাভস ব্যবহার করেছিলেন তিনি। তার পরও কী করে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন! উঠছে প্রশ্ন। মার্কন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশি থেকে জীবাণু ছড়ায়। সেক্ষেত্রে আক্রান্ত ব্যক্তির সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখলেও সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট অন্য কারও নাক, মুখ, চোখ দিয়ে শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তাই ভাল মাস্ক, চশমা পরাটা আবশ্যক বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। নাকে, মুখে, চোখে হাত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।


আরও পড়ুন— বাদুড় থেকে ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস! জেনে নিন কী বললেন ICMR-এর বিশেষজ্ঞ


সিডিসি আরও জানিয়েছে, অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট মাটিতে পড়ে থাকছে। ফলে অন্য কারও জুতোয় সেটা লেগে সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে। সেই জন্য বাড়িতে প্রবেশ করার সময় জুতো বাইরে খুলে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। হাত, পায়ের সঙ্গে জুতো স্যানিটাইজ করতে পারলে সব থেকে ভাল।