জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাঁর অবস্থাটা অনেকটা ওই আসি যাই মাইনে পাই-এর মতো। অফিসে আসেন, দিব্বি ঠ্যাঙের উপর ঠ্যাং তুলে বসে থাকেন, কখনও খবরের কাগজ পড়েন, সহকর্মীদের সঙ্গে গালগল্প করেন, খাওয়া-দাওয়া সারেন, বাড়ি চলে যান। এদিকে মাসের শেষে মোটা মাইনে। অধিকাংশ মানুষই হয়তো মনে-মনে ঠিক এরকমই একটি চাকরি চান। কিন্তু ঠিক সেখানেই তাঁর আপত্তি। তিনি পরিশ্রম করতে চান, পরিশ্রম করেই উপার্জন করতে চান।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনের রেলওয়েতে ফিন্যান্স ম্যানেজার পদে কাজ করেন এই বিরক্ত কর্মী-- ডেরমট অ্যালস্টেয়ার মিলস। প্রতিদিন নিয়ম মেনে অফিসে যান তিনি। কিন্তু অফিসে তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয় না। দিলেও খুব সামান্য কাজ দেওয়া হয়। আর এভাবেই বছরের পর বছর চলছে। শেষে তিতিবিরক্ত হয়ে অফিসের বসদের বিরুদ্ধেই মামলা ঠুকে দিলেন মিলস। তাঁর অভিযোগ, ইচ্ছা করেই তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হয় না। তাই আদালতের দ্বারস্থ তিনি।


আরও পড়ুন: কেন টাওয়ার অফ লন্ডনের প্রদর্শনী থেকে সরানো হল আড়াই কেজির আশ্চর্য রত্নখচিত এই রাজমুকুট?


কেন কাজ করতে দেওয়া হয় না তাঁকে?


কর্তৃপক্ষের অসততা প্রায় ফাঁস করে দিতে বসেছিলেন তিনি। মিলসের করা মামলার নথিপত্র দাখিল করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এ সংক্রান্ত কিছু খবর। সেখানে বলা হয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ২০১৪ সালে। তখন অফিসে নিয়মিত কাজ করতেন মিলস। ওই সময় রেলের তহবিলের হিসাব–নিকাশ নিয়ে কিছু গাফিলতির বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর তার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যেতে শুরু করে। কর্তৃপক্ষ তাঁকে আর সুনজরে দেখে না।


মিলসের অভিযোগ, এই ঘটনার পর থেকেই ধীরে ধীরে তাঁর কাজ কমিয়ে দেওয়া হয়। অফিসে এলেও তাঁকে কাজ দেওয়া হয় না। দিলেও তা এত অল্প যে, তা দ্রুত শেষ হয়ে যায়। ফলে অযথাই তাঁকে বসে থাকতে হয় অফিসে। এদিকে প্রতিদিন নিয়ম মেনে অফিসে এলেও বেশির ভাগ সময় তাঁর কাটে সংবাদপত্র পড়ে, খাওয়াদাওয়া কিংবা হাঁটাহাঁটি করে। কখনো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা সহকর্মীদের কাছ থেকে অফিসের কাজ সংক্রান্ত কোনও ই-মেইল ইত্যাদি এলে সেটার জবাব দেন। ব্যস! তাঁর কাজ বলতে এইটুকুই।


এসব নিয়ে বারবার বসদের কাছে প্রতিকার চেয়েছেন মিলস। কিন্তু কোনও ফল হয়নি। তিনি বলেছেন, রেলপথ নির্মাণ ও পরিচালনার হিসাব-নিকাশে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। অন্যের গাফিলতির দায় তাঁর কাঁধে চাপানোর চেষ্টা চলছে। এ জন্যই অফিসে বছরের পর বছর তাঁকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। আর বহুদিন অপেক্ষা করেও এর কোনও প্রতিকার না পেয়ে অবশেষে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি।


তাঁর দাবি, অফিসে আগের মতোই কাজ করতে দেওয়া হোক তাঁকে, অযথা অন্যায়ের শিকার যেন না হন। এ জন্যই আদালতের সহায়তা চান। মিলস বলেন, ‘আমি আদতে কোনো কাজ না করেই বছরে ১ লাখ ২৬ হাজার ডলার বেতন পাই, কিন্তু বছরের পর বছর এভাবে চলতে পারে না! প্রসঙ্গত, ভারতীয় মুদ্রায় মিলসের মাইনে প্রায় ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)