জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একুশে আইন? না, ঠিক একুশে বলে দাগিয়ে দিয়ে যাওয়া যায় না হয়তো এ ঘটনাকে। কেননা, এখানে ন্যায় বা জাস্টিসের একটা আদর্শ আছে। অপরাধীকে শাস্তি দেওয়ার মধ্যে তো খারাপ কিছু নেই। তবুও কিছুটা আশ্চর্যের এলিমেন্ট তো আছেই।  টিকটকে লাইভ ভিডিয়ো করছিলেন স্বামী-স্ত্রী। ভিডিয়োর একটা পর্যায়ে স্ত্রীর গালে চড় মেরে বসেন ওই ব্যক্তি। আর এতেই কপাল পোড়ে তাঁর। পড়েন আইনি সংকটে। অবশেষে বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। মহিলার প্রতি হিংস্র আচরণ করার দায়ে এক বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ওই ব্যক্তির। যদিও সংশ্লিষ্ট স্ত্রী তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আনতে রাজি ছিলেন না; কিন্তু দেশের আইন অনুযায়ী কারাবাস হয় তাঁর, যা কোনও ভাবেই এড়াতে পারলেন না তিনি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Greece Train Collision: ভয়ংকর! মুখোমুখি সংঘর্ষ দুটি ট্রেনের; মৃত ৩২, আহত ১০০-র কাছাকাছি...


ঘটনাটি ঘটেছে ইউরোপে। স্পেনের উত্তরাঞ্চলীয় শহর সোরিয়াতে এই ঘটনা ঘটে। ২৮ জানুয়ারি সকালে টিকটকে লাইভে আসেন ওই দম্পতি। অংশ নেন একটি লাইভ ‘ব্যাটেলে’, যেখানে ভুক্তভোগী ওই মহিলার সঙ্গে তাঁর স্বামী ছাড়াও ছিলেন আরও দুই পুরুষ। তাঁরা ঝামেলা-ঝঞ্ঝাটে জড়াবেন, মারামারি করবনে আর তা সরাসরি টিকটকে দেখানো হবে—এমনটাই ছিল নিয়ম। পরে দর্শকদের ভোটে একজন বিজয়ী নির্বাচিত হবেন।


আরও পড়ুন: Zero Discrimination Day: সব ধরনের বৈষম্যের অবসানের প্রতিজ্ঞান দিন আজ! কেন জানেন?


ভিডিয়োর একপর্যায়ে স্ত্রীর গালে কষিয়ে চড় মারতে দেখা যায় অভিযুক্ত এক ব্যক্তিকে। চড় খেয়ে কেঁদে ফেলেন ওই মহিলা। পরে এ ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। শুরু হয়ে যায় ঘটনার আলোচনা-সমালোচনা। যদিও ওই মহিলা এ জাতীয় কোনও অভিযোগ আনতে অরাজি ছিলেন; কিন্তু আইন তো আইনের পথেই হাঁটবে। ফলে দেশীয় আইনের ঝামেলা এড়াতে পারেননি ওই ব্যক্তি। পুলিসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্পেনের এক আদালত অভিযুক্ত ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।


ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি প্রকাশ্যে এক মহিলার প্রতি সহিংস আচরণ করেছেন। এ জন্য তাঁকে এক বছরের জন্য জেলে যেতে হবে। এ ছাড়া আগামী তিন বছর তিনি তাঁর স্ত্রীর ৩০০ মিটারের মধ্যে যেতে পারবেন না। ৩০০ মিটার মানে কার্যত ১ হাজার ফুট। অর্থাৎ, স্ত্রীর কাছ থেকে বাকি সময়টা তাঁকে অক হাজার ফুট দূরে থাকতে হবে!


স্পেনে আসলে লিঙ্গভিত্তিক যেকোনো হিংস্রতার ঘটনায় কঠোর শাস্তি পেতে হয়। সে দেশে এ-বিষয়ক আইন যথেষ্ট কড়া। এই মামলার রায় ঘোষণার সময়ে বিচারক বলেন, লিঙ্গভিত্তিক হিংস্রতার ঘটনায় ভুক্তভোগী কোনও অভিযোগ জানালেন কি না, সেটা মোটেই তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু নয়। ঘটনা প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শাস্তি পেতেই হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রকাশ্যে তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেছেন, তাই শাস্তি দেওয়া হয়েছে তাঁকে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)