জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঐতিহাসিক! যুগান্তকরী! উত্তপ্ত বাংলাদেশের সামগ্রিক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে আদালতের আজকের রায় একটা বিরল ব্যাপার বলে স্বীকৃতি পাচ্ছে পদ্মাপারে। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর পুরোটা আদালত বাতিল করেনি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের আইনজীবীরা। তাঁরা বলছেন, ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে যুক্ত করা কয়েকটি ধারা আদালত বাতিল করেছে। বাকিগুলি ভবিষ্যৎ সংসদের জন্য রেখে দিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Top 10 Coldest Places: মাইনাস ১৯ ডিগ্রি উষ্ণতা! এভাবেই কি একদিন 'আইস এজে' প্রবেশ করেছিল পৃথিবী? আর কত নীচে নামবে...


আওয়ামী লীগ সরকার ২০১১ সালে ১৫তম সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাতিল করে এবং সংবিধানে ফিরিয়ে আনে জাতীয় চার মূলনীতি-- জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা। তখনই সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল রেখে অন্যান্য ধর্মের সমমর্যাদাও নিশ্চিত করার আইন আনা হয়। পাশাপাশি ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ, ২৬ মার্চের স্বাধীনতা ঘোষণা ও স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সঙ্গে বেআইনি ভাবে ক্ষমতা দখল করলে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধানও অন্তর্ভুক্ত করা হয় সংবিধানে। জাতির পিতা হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ২০২১ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময়েই।


আজ, মঙ্গলবার পৃথক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায়ে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তি-সংক্রান্ত ওই ১৫ তম সংশোধনী আইনের ২০ ও ২১ ধারা সংবিধানের সঙ্গে সংঘর্ষপূর্ণ এই 'অভিযোগে' তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। রায়ের পরে রিটকারীর আইনজীবী সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা ওই ১৫ তম সংশোধনীটিই সম্পূর্ণ ভাবে বাতিল করতে চেয়েছিলেন। তবে আদালত বেশ কয়েকটি ধারা বাতিল করলেও অন্যগুলি করেনি। তবে আদালত বলেছে, ভবিষ্যৎ সংসদ জাতির প্রয়োজন অনুযায়ী সেগুলি রাখতেও পারে, বাতিলও করতে পারে।


রায়ে আদালত বলে, সংবিধানের ১৪২ অনুচ্ছেদের গণভোটের বিধান বিলুপ্তি-সংক্রান্ত ১৫ তম সংশোধনী আইনের ৪৭ ধারা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ায় তা বাতিল ঘোষণা করা হল। ফলে দ্বাদশ সংশোধনীর ১৪২ অনুচ্ছেদ পুনর্বহাল করা হল।


আরও পড়ুন: EXPLAINED | High Magnitude Earthquake: তীব্র ভূকম্পে কাঁপল ৬০ কিমি গভীর মাটি! ভেঙে পড়ল দূতাবাস, দুলে উঠল গভীর সমুদ্র...


সংশ্লিষ্ট আইনজীবী বলেন, মাননীয় আদালত বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা বাংলাদেশের সংবিধানের মূল কাঠামোর একটি অংশ। যেহেতু নির্বাচন, গণতন্ত্র বাংলাদেশের সংবিধানের মূল কাঠামো এবং যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থা নির্বাচন ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করেছে, সেহেতু এটি সংবিধানের একটি মূল কাঠামো। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে এটি ঐতিহাসিক রায়। এর ব্যাখ্যা হল-- তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা ফিরে আসার ক্ষেত্রে বড় বাধা দূর হল। তবে সেটা এখনই ফিরে এসেছে বলা যাবে না; কারণ, সেটা বাতিল করা হয়েছিল দুইভাবে। আদালতের রায় ও সংসদ কর্তৃক সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে। আগামী জানুয়ারিতে এর শুনানি হবে। সেটা আবেদনকারীদের পক্ষে নিষ্পত্তি হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার-ব্যবস্থা ফিরবে।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)