মানবিক! আহত `বন্ধুর` জন্য সাহায্য পেতে সারমেয়র `নিঃশব্দ প্রতিবাদ`
এখন প্রশ্ন করতেই পারেন, এ খবর তো আমাদের সবার জানা। আবার নতুন করে বলার দরকার কী? বলার অবশ্যই আছে। সমাজ ‘প্রমিস’ করেছিল, এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক সঙ্গে ১৬টি কুকুর ছানা ‘খুন’! কুকুরের উপদ্রব কমাতে এক একটিকে থেঁতলে, পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সামান্য প্রাণ যার রয়ে যায়, তাকেও রেয়াত করা হয়নি। গত ১৩ জানুয়ারি নীল রতন সরকার হাসপাতালে নৃশংস কুকুর হত্যায় সরব হয় সব মহলই। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাস্তবের রাজপথ - প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, ঘেরাও সবই হয়। তত্পর হয় প্রশাসন। কুকুরের উপদ্রব কমাতে বেশ কিছু জায়গায় ব্যবস্থাও নেওয়া হয়। কিন্তু ১৬টি অবলার প্রাণের বিনিময়ে। সরি, সাতেরোটি। পরে মানুষের অমানবিক পিটুনিতে প্রাণ হারায় ওই সন্তানদের মা-ও।
আরও পড়ুন- দুর্নীতি দমনে চিনকেও টেক্কা দিয়েছে মোদীর জমানার ভারত, বলছে রিপোর্ট
এখন প্রশ্ন করতেই পারেন, এ খবর তো আমাদের সবার জানা। আবার নতুন করে বলার দরকার কী? বলার অবশ্যই আছে। সমাজ ‘প্রমিস’ করেছিল, এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না। যে ভাবেই হোক রুখে দাঁড়াবে। হ্যাঁ, এমনই একটি দৃষ্টান্ত দেখা গেল ওপার বাংলায়। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায়, ব্যস্ত রাস্তায় আহত অবস্থায় পড়ে একটি কুকুর। আর তাকে বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে তার সঙ্গী। আহত কুকুরটিকে পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে দু-চার চাকার যান। পথ চলিত মানুষরাও ফিরে তাকাচ্ছেন না। তবে, সঙ্গী কুকুরটি ছাড়বার পাত্র নয়। কীভাবে মুমূর্ষুর পাশে দাঁড়াতে হয়, ওই সারমেয় যেন চরম শিক্ষা দিল সমাজকে।
রাস্তায় অনবরত গাড়ি ছুটে চলেছে। নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ঠায় ‘বন্ধুর’ পাশে দাঁড়িয়ে রইল কুকুরটি। যতক্ষণ না সাহায্য মিলছে, এক চুলও সেখান থেকে সরেনি। এ যেন তার ‘নিঃশব্দ প্রতিবাদ’। ভিডিয়োতে দেখা যায়, দুই তরুণী অনেক কষ্টে রাস্তা পার করে কুকুরটিকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে। এর পর আহত কুকুরটিকে নিরাপদ স্থানে আনেন তাঁরা। সেখানেও তাঁদের পিছু ছাড়েনি ওই সারমেয়। তাকে খেতে দিলেও মুখ ফিরিয়ে নেয় সে। যত ক্ষণ না তার ‘বন্ধুর’ যথাযথ চিকিত্সার ব্যবস্থা হচ্ছে, নিজের কর্তব্যে সে অবিচল থাকে। শেষপর্যন্ত কুকুরটির কী পরিণতি হয়, তা জানা যায়নি। তবে, সারমেয়র ‘মানবিকতা’ এবং মানুষের ‘জীব প্রেম’ এদিন একাকার হয়ে যায়। আর বিপদে পথ চলতি মানুষ বরাবর যে এড়িয়ে যায় এ দিন ফের সেটাও প্রমাণ হয়।