Bangladesh: অন্ধকারে বাংলাদেশ! কেন আদানি কোম্পানির বকেয়া মেটাচ্ছে না ইউনূস সরকার?
Bangladesh Power Cut: আদানিদের সঙ্গে বাংলাদেশের দড়ি-টানাটানি দীর্ঘদিনের। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে বিদ্যুতের বিল বাকি পড়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। আর এরই মধ্যে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে। তৈরি হয়েছে অচলাবস্থা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অন্ধকারে ডুবল বাংলাদেশ। কেন? বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে আদানির তরফে। অভিযোগ, আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড (এপিজেএল)-এর বকেয়া বিল না মেটাচ্ছে না ইউনূস সরকার। তাই আদানি গোষ্ঠী বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেক করে দিল। জানা গিয়েছে, আদানি পাওয়ারের অধীনস্থ সংস্থা এই আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড লিমিটেড। বাংলাদেশ সরকার ৮৪৬ মিলিয়ন ডলার বকেয়া অর্থ মেটায়নি তাদের।
আরও পড়ুন: Extreme Winter 2024: 'লা নিনা'ই এবার ডেকে আনতে পারে মর্মান্তিক শীত! অনুমান হাওয়া অফিসের...
বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই এই ছবি। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকেই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে সরবরাহ করা তাদের বিদ্যুতের পরিমাণ অর্ধেক করে দিয়েছে। এর ফলে প্রায় ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সংকট দেখা দিয়েছে।
বকেয়া টাকা নিয়ে আদানিদের সঙ্গে বাংলাদেশের এই দড়ি-টানাটানি দীর্ঘদিনের। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে বিদ্যুতের বিল বাকি পড়েছে বলে শোনা গিয়েছিল। আর এরই মধ্যে হাসিনা সরকারের পতন ঘটেছে, বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। তার উপদেষ্টা হয়েছেন মহম্মদ ইউনূস। কিন্তু এহেন পালাবদলের পরেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি, উল্টে আরও অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
তবে নতুন সরকারকে বারবার চিঠি দিয়েছে আদানি-গোষ্ঠী। পদ্মাপারের নতুন উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গৌতম আদানির সংস্থার তরফে বারবার বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডকে বকেয়ার জন্য সতর্ক করে বকেয়া অর্থ মেটানোর জন্য বলা হয়েছিল।
সাম্প্রতিকে, গত ২৭ অক্টোবর আদানিদের তরফে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়, ৩০ অক্টোবরের মধ্যে যেন বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়। বকেয়া না মেটালে ৩১ অক্টোবর থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হবে, বলা হয়েছিল এমন কথাও।
এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ কী বলছে?
আরও পড়ুন: New Cyclonic Storm: 'ডানা'র পরেও রেহাই নেই! পরবর্তী ঝড়ের ভয়ংকর খবর দিল মৌসম ভবন...
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ বিভাগের তরফে দাবি করা হয়েছে যে, আগের বকেয়া অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হলেও জুলাই মাস থেকে আদানি গোষ্ঠী বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সাপ্তাহিক ১৮ মিলিয়ন ডলার করে আদানি পাওয়ারকে দেওয়া হলেও আদানির সংস্থার তরফে প্রতি সপ্তাহেই অতিরিক্ত ২২ মিলিয়ন ডলার চার্জ করা হচ্ছে। যে কারণে এই বিপুল অর্থ বাকি পড়ে রয়েছে।