নিজস্ব প্রতিবেদন: তালিবান আছে তালিবানেই। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের পর 'উদারবাদী' হওয়ার কথা জানিয়েছিল তারা। কিন্তু সেটা শুধুই কথার কথা! বাস্তব চিত্র আলাদা। একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার রিপোর্ট, আফগানিস্তানে কয়েক যুগ ধরে বসবাসকারী শিখদের হুমকি দিয়েছে তালিবানরা। স্পষ্ট বলা হয়েছে, হয় ধর্ম পরিবর্তন করতে হবে না হলে দেশ ছাড়তে হবে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর রাইটস অ্যান্ড সিকিউরিটি (International Forum For Rights and Security) জানিয়েছে, কয়েক দশক ধরে ধীরে ধীরে আফগানিস্তানে শিখদের সংখ্যা কমেছে। ধর্মীয় হিংসার শিকার হয়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। কাবুলে প্রচুর শিখ থাকতেন। পাশাপাশি গজনি ও নানগারহারেও আস্তানা ছিল শিখদের। গত ৫ অক্টোবরে কাবুলের কার্ত-এ-পারওয়ানে গুরুদ্বারে ঢুকে পড়ে ১৫ থেকে ২০ সন্ত্রাসী। নিরাপত্তারক্ষীদের বেঁধেছিল তারা। এমন বহু শিখ-বিরোধী হিংসা সংগঠিত হয়েছে আফগানিস্তানে।  


গত বছর জুনে আফগান শিখ নেতাকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। এই ঘটনা পরে আর ততটা আলোচিত হয়নি। ২০১৯ সালের মার্চে কাবুলে এক শিখ ব্যক্তিকে অপরণ করে খুন করা হয়েছিল। দুই সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিস। কন্দহরেও গুলি করে মারা হয়েছিল এক শিখকে।  


যুগ যুগ ধরে আফগানিস্তানে বসবাস করছেন শিখরা। কিন্তু আফগান সরকার তাদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নয়ের দশকে হিংসার সুযোগে তাঁদের জমিজমা বেআইনিভাবে দখল করেছিল স্থানীয়রা।তা ফেরত দেওয়ার কোনও ব্যবস্থাই আফগানিস্তানের সরকার করেনি বলে অভিমত IFFRAS-র রিপোর্টে। তাদের রিপোর্টে বলা হয়েছে, সুন্নি মুসলিমের মধ্যে পড়ে না শিখ সম্প্রদায়। তালিবান তাদের প্রস্তাব দিয়েছে, সুন্নি মুসলিম হয়ে যাও অথবা দেশ ছেড়ে পালাও। তালিবান সরকার বৈচিত্র্যে বিশ্বাস করে না। স্বাভাবিকভাবে কঠোর ধর্মীয় নীতির জেরে সংখ্যালঘুদের অবস্থা আরও শোচনীয় হবে। 


আরও পড়ুন- ঈশ্বরকে খুশি করতে মন্দির ধ্বংসে বিশ্বাসী জিহাদিরা, Bangladesh-হামলার নিন্দায় Tulsi


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)