নিজস্ব প্রতিবেদন: তালিবান কাবুল দখল করার পর আফগানিস্তানের পরিস্থিতি খুব খারাপ। গোটা দেশজুড়েই এক বিশৃঙ্খল অবস্থা। কোনও সরকার নেই। তালিবান দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সবদিকে। কিন্তু ওদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ চলবেই। জি মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এমনটাই জানালেন পঞ্জশিরের প্রখ্যাত নেতা আহমেদ শাহ মাসুদের ভাই আহমেদ ওয়ালি মাসুদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-Bishnupur: টেন্ডার দুর্নীতিকাণ্ডে পুলিস হেফাজতে শ্যামাপ্রসাদ, আচমকাই প্রাক্তণ মন্ত্রীর কাছে সৌমিত্র


ওয়ালি বলেন, মানুষ আতঙ্কে ভুগছে। দেশের বিভিন্ন শহর থেকে মানুষ পালাচ্ছে। তালিবানের হাত থেকে বাঁচার জন্য বহু মানুষ লুকিয়ে পড়ছে। কাবুল সহ আফগানিস্তানের বহু শহরেরই একই অবস্থা। কেউ জানে না তালিবানদের নিয়ন্ত্রণ করছে কে। কে ওদের মাথা।


উল্লেখ্য, তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে উত্তর কাবুলের উপত্যকা পঞ্জশির। ইতিমধ্যেই সেখানে হাজির হয়েছে তালিবান। তাদের জোর ধাক্কা দিতে শুরু করেছে আহমেদ মাসুদের নেতৃত্বে প্রতিরোধ বাহিনী। প্রসঙ্গত, আটের দশকে রুশ আগ্রাসন ও নয়ের দশকে তালিবান জমানাতেও পঞ্জশিরে ঢুকতে পারেনি কেউ।


যুবসমাজ তালিবান বিরোধী


পঞ্জশিরের প্রতিরোধের কথা বলতে গিয়ে, ওয়ালি মাসুদ বলেন,  প্রতিরোধের কথা যদি বলতে হয় তাহলে বলব, কয়েক দশক ধরেই আমাদের পরিবার তালিবানের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করে আসছে। আমরা লড়াই করছি না। বরং আমাদের এলাকার মানুষদের জন্য তালিবানকে ঠেকানোর চেষ্টা করছি। বাঁচার জন্য লড়াই করছি আমরা। পঞ্জশির, বাখলান সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতিরোধ শুরু হয়েছে। আফগানিস্তানের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে তালিবানের কোনও সমঝোতা বা কথবার্তা হয়নি। আফগানিস্তানের যুব সমাজ তালিবান বিরোধী। তালিবান যা বিশ্বাস করে তার সঙ্গে নেই দেশের আম জনতা। 


লড়াই পঞ্জশিরের মানুষের রক্তে 


সাধারণ মানুষ যখন প্রতিরোধ গড়ে তোলে তখন তা বাইরের লোকদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়। ওয়ালি বলেন, মানুষ তাদের নিজের জমির জন্য লড়াই করছে, তাদের জীবনের জন্য লড়াই করছে। মনে রাখবেন তালিবান ঠেকাতে আফগানিস্তানের মানুষের প্রতিরোধের লড়াই কখনওই বন্ধ হবে না। পঞ্জশির সহ এখানকার মানুষের রক্তে রয়েছে এই লড়াই। 


এই তালিবান আলাদা!


এই তালিবান যে আগের তালিবানের থেকে আলাদা তা তারা এখানো দেখাতে পারেনি, বলে মন্তব্য করেন মাসুদ। গতকালই তারা জানিয়েছে, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমার নতুন আইন তৈরি করছি ততক্ষণ মহিলারা বাড়ির বাইরে বের হতে পারবে না। কাজ করতে পারবে না। জানি না ওরা কী নতুন আইন আনবে। দেশের খুব কম এলাকায় শরিয়তি আইন চলে। ওরা যা প্রতিশ্রুতি দেয়, আর ওরা যা করে তার মধ্যে বিস্তর ফারাক। তাই এখন অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।


আরও পড়ুন-Covid 19:  টিকা নেওয়ার পরেও কতজন আক্রান্ত? তথ্য নেই, হাইকোর্টে জানাল কেন্দ্র


তালিবান সরকার!


গোটা বিশ্বের কাছ আমরা আবেদন জানিয়েছি যে আমাদের এই সময়ে বিভিন্ন ধরনের সাহায্যের প্রয়োজন। এখন দেশের এই পরিস্থিতিতে তালিবানের সঙ্গে কোনও সমঝোতা না হলে দেশটা স্বৈরাচারের দিকে চলে যাবে। এ জিনিস মেনে নেওয়া যায় না। দেশের সব জাতি গোষ্ঠী যতক্ষণ না তালিবানকে গ্রহণ না করে ততক্ষণ তালিবান সরকারকে মেনে নেওয়া যায় না। আন্তর্জাতিক মহলের উচিত তালিবানের উপরে চাপ সৃষ্টি করে একটি সর্বোসম্মত সরকার গঠন করা। জায়গায় জায়গায় হামলা বন্ধ করতে হবে, রাজনীতিবিদদের খুনের নীতি বদলাতে হবে। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)