নিজস্ব প্রতিবেদন: কাবুল বিমানবন্দরের (Kabul Airport) আইএসআইএস-খোরাসান (ISIS-K) জঙ্গিগোষ্ঠীর আত্মঘাতী হামলার পরেই প্রত্যাঘাতের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আমেরিকা। 'খুঁজে বের করে মারব', এমনটাই জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (Joe Biden)। যেমন কথা তেমন কাজ। এবার সোজা আফগানিস্তানে অবস্থিত আইএসআইএস-খোরাসান (ISIS-K) জঙ্গিগোষ্ঠীর ঘাঁটিতে হামলা চালাল আমেরিকা। ড্রোন হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গি সংগঠনের গোপন আস্তানা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পেন্টাগন সূত্রে খবর, মার্কিন সেনার তরফে ওই অভিযান চালানো হয়েছে। নিখুঁত টার্গেটে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের গোপন ঘাঁটি। মার্কিন সেনার সেন্ট্রাল কমান্ডের মুখপাত্র জানিয়েছেন, আফগানিস্তানের নানগড় প্রদেশের ওই অভিযানটি চালানো হয়েছে। হামলায় জঙ্গিদের বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে অনুমান। তবে কোনও সাধারণ মানুষের ক্ষতি হয়নি বলে নিশ্চিত পেন্টাগন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আত্মঘাতী বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে কাবুল বিমানবন্দর। প্রথম দুটো বিস্ফোরণ হয় বিমানবন্দরের বাইরে জনবহুল এলাকায়। অপর একটি বিস্ফোরণ হয় রাতের দিয়ে অন্যত্র। ছত্রভঙ্গ সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলিও চালায় জঙ্গিরা। হামলার কয়েক ঘণ্টা পরে দায় স্বীকার করে আইএস-এর শাখা সংগঠন আইএসআইএস-খোরাসান (ISIS-Khorasan) (ISIS-K)। এরপর হামলার বিষয়ে বলতে গিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন জো বাইডেন (Joe Biden)। পরে নিজেকে সামলে নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, "আমরা ক্ষমা করব না। আমরা ভুলে যাব না। আমরা ওদের খুঁজে বের করব এবং হিসাব বুঝে নেব"।     



আরও পড়ুন: 'দ্রুত খালি করুন', ফের IS হানার আশঙ্কায় Kabul বিমানবন্দর এড়ানোর সতর্কতা আমেরিকার


তিনি আরও বলেন, "আইএসআইএস-খোরাসান (ISIS-K)-কে যোগ্য জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা শুরু করেছে আমেরিকা। আমার কম্যান্ডরদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমাদের সময় মতো আমরা ঠিক উত্তর দেব। যেখানে বুঝব, যখন আমরা বুঝব।" সমস্ত জল্পনায় জল ঢেলে ওই ভাষণেই বাইডেন (Joe Biden) জানিয়ে দেন, এভাবে আমেরিকাকে আটকানো যাবে না। এরপরেও প্রত্যার্পনের কাজ জারি থাকবে। কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী হামলায় এখনও মৃত ৮০ জন। গুরুতর জখম ১৪৩। মৃতদের মধ্যে ১৩ জন মার্কিন সেনাও রয়েছেন।


আরও পড়ুন: Afghanistan: থাকবে সব জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, আফগানিস্তানে কেয়ারটেকার সরকার গড়ার পথে তালিবান