ওয়েব ডেস্ক: ভূমিকম্পের রেশ কাটলেও, এখনও পর্যটকদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি নেপাল। পর্যটনের মরশুম শুরু হলেও, হিমালয় রাষ্ট্রে সেভাবে দেখা মিলছে না বিদেশীদের। ফলে আর্থিক ভাবে ঘুরে দাঁড়াতে অন্য এক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে পর্যটন নির্ভর নেপাল।


আরও পড়ুন- এই মারাত্মক অপরাধে ২৩৫ বছরের জেল হল ৪০ বছরের মানুষটার


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এপ্রিল ২০১৫


বিধ্বংসী ভূমিকম্প নাড়িয়ে দিয়েছিল নেপালের ভিত। তছনছ হয়ে যায় ঐতিহাসিক দরবার স্কোয়্যার। প্রাণ হারিয়েছিলেন নয় শতাধিক মানুষ। সেই সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল সেদেশের পর্যটন শিল্পের।


ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই


ভূমিকম্পের রেশ কাটিয়ে, এক বছর ধরে একটু একটু করে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে নেপাল। ক্ষতচিহ্নে পড়ছে প্রলেপ। জোড়া লাগছে ফাটল। সেজে উঠছে দরবার স্কোয়্যারে। তারপরেও হাল ফিরছে না পর্যটনের। গত এপ্রিলের মহাপ্রলয়ে মুখ থুবড়ে পড়া পর্যটন শিল্প কিন্তু আজও মাথা তুলতে পারছে না। কারণ হিমালয় রাষ্ট্রে সেভাবে আসছেন না বিদেশীরা।


বিপন্ন পর্যটন


সাধারণত সেপ্টেম্বর মাস থেকেই নেপালে ভিড় করেন দেশ বিদেশের পর্যটক। সবচেয়ে বেশী জানুয়ারিতে। কাঠমাণ্ডুর বিভিন্ন হোটেলে দেখা দেয় স্থানাভাব। ছোট-বড় রেস্তোরাঁয় মানুষের ভিড়। রাস্তায় চলে বিকিকিনি। ২০১৪ সেপ্টেম্বরেও এটাই ছিল নেপালের চেনা ছবি। ভূমিকম্প বদলে যায় সবকিছু। হিমালয় রাষ্ট্রে আসা বন্ধ হয়ে যায় বিদেশীদের। বর্তমানে চরম সঙ্কটে নেপালের পর্যটন শিল্প।


সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে নেপাল সফর করেন ৪ লক্ষ ১২ হাজার ৪৬১জন পর্যটক। অথচ চলতি বছর সংখ্যাটা কমে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৭৭ হাজার ৯৯২জন।


এঅবস্থায় দেশের পর্যটন নিগমের  প্রধান লক্ষ্যই হল বিশ্বকে জানান দেওয়া যে নেপাল এখন নিরাপদ। ভারত, চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মলত এই তিন দেশের পর্যটকরাই অক্সিজেন যোগায় নেপালের পর্যটন শিল্পকে। হিমালয় দর্শনে আসেন ইউরোপীয়রাও। প্রশাসনের আশা, শীঘ্রই ভূমিকম্পের আতঙ্ক কাটিয়ে, ফের নেপালে ভিড় জমাবেন পর্যটকরা। চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি।