ওয়েব ডেস্ক: দেখতে দেখতে একটা বছর কেটে গেল নেপালের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের। কিন্তু সেই আতঙ্কের স্মৃতি যেন এখনও তাড়া করে বেড়াচ্ছে দুর্ঘটনায় আক্রান্ত মানুষগুলোকে। নেপালের সেই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে এখনও বহু মানুষ ঘর ছাড়া। প্রাণ বাঁচিয়ে রেখেছেন সাময়িক তাঁবুতে। কখন আবার ভূমিকম্পের ফলে এলোমেলো হয়ে যাবে তাঁদের জীবন, সেই আশঙ্কাই করছেন সারাক্ষণ মনে মনে। চোখ বন্ধ করলেই দেখতে পাচ্ছেন দুর্যোগের ভয়াবহ দৃশ্যগুলো। কীভাবে হাজার খানেক মানুষ প্রাণ হারিয়েছিলেন। কীভাবে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছিল বহু ঘর বাড়ি প্রাসাদ। তাই বছর ঘুরে গেলেও দুর্ঘটনার কবলে পড়া মানুষগুলোর মন ঘোরেনি এখনও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৭.৮। কিছু বুঝে ওঠার আগেই কেঁপে উঠল পায়ের তলার মাটি। মাথার ওপরে এসে পড়ল বাড়ির ছাদ। নিমেষের মধ্যে আতঙ্ক ছেয়ে গেল গোটা নেপাল জুড়ে। এক মুহূর্তে ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ কেড়ে নিল হাজার হাজার নিরপরাধ প্রাণ। ঘর ছাড়া হল লক্ষ লক্ষ মানুষ। আশ্রয়ের খোঁজে এদিক ওদিক ছুটে বেড়ানো। মাটি কাঁপা থামলে তখন স্বজন হারানোর হাহাকারে ভারি নেপালের বাতাস। যাঁরা বেঁচে ছিলেন তাঁরা মাথা গোঁজার ঠাঁই খুজতে লাগলেন। তাঁবু খাটিয়ে প্রাণধারণের চেষ্টা। মাঝে একটা বছর কেটে গেছে। কিন্তু কিছু কিছু মানুষের কাছে ছবিটা এখনও একি আছে। তাঁরা এখনও একটা বাসস্থান গড়ে তুলতে পারেননি।


ছোট্ট একটা তাঁবু। তাতে একটা বিছানা আর একটা স্টোভ। বাসস্থান হারানোর পর এটাই এখন একমাত্র সম্বল এক মায়ের। তিন সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে এখন এখানেই বসবাস করছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বললেন, 'কেউ আমাদের সাহায্য করেনি। সরকার সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সেই প্রতিশ্রুতি আর পূরণ হয়নি। জানি না কবে আবার নিজেদের বাড়ি তৈরি করতে পারব। এভাবেই জীবন যাপন করা ছাড়া আমাদের কাছে তো আর কোনও উপায়ও নেই।'


পথই এখন লক্ষ লক্ষ পরিবারে বাসস্থান। সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাসস্থান গড়ে দেওয়ার। কিন্তু সে শুধু কথাই থেকে গিয়েছে। বছর ঘুরে গেলেও এভাবেই ঘর ছাড়া হয়ে পথে পথে দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।