ওয়েব ডেস্ক: থেমেছে অগ্নুত্‍পাত। শান্ত হয়েছে মেক্সিকোর কলিমা আগ্নেয়গিরি। এবার ঘরে ফেরার পালা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আগ্নেয়গিরি কলিমা অরফে ফায়ার ভলক্যানো। পশ্চিম মেক্সিকোর কলিমা এবং জ্যালিস্কো প্রদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে রয়েছে এই বিধ্বংসী আগ্নেয়গিরি।  ৩ হাজার ৮০০ মিটার উচ্চতায়  এই আগ্নেয়গিরির ঘুম ভাঙে গত সপ্তাহে। শুক্রবার থেকে শুরু হয় অগ্নুত্‍পাত। ছাই আর কালো ধোঁয়ায় ভরে যায় আশেপাশের এলাকা। বাড়তে থাকে তাপমাত্রা।  কলিমা আগ্নেয়গিরির খুব কাছে থাকা দুটি গ্রাম খালি করে দেওয়া হয়।  সতর্ক থাকতে বলা হয় আরও দুটি গ্রামের বাসিন্দাদের।


শনি ও রবিবার কিছুটা নিস্তেজ ছিল কলিমা। কিন্তু সোমবার রাতে ফের রূদ্রমুর্তি ধারন করে ফায়ার ভলক্যানো।  জ্বালামুখ থেকে শোনা যায় পরপর বিস্ফোরণের শব্দ। দীর্ঘক্ষণ চলে অগ্নুত্‍পাত। নতুন করে ছড়ায় আতঙ্ক।


ফিলিপ পুয়েন্তে, অসামরিক নিরাপত্তা আহ্বায়ক জানালেন,
এই মুহুর্তে আগ্নেয়গিরি সম্পূর্ণ সক্রিয়। এরকমটা গত কয়েক বছরে দেখা যায়নি। গত বছর যে ধরনের অগ্নুত্‍পাত দেখেছিলাম, তার থেকেই আমরা মনে করেছিলাম যে শুক্রবারের পর আর অগ্নুত্‍পাত হবে না। কিন্তু সোমবার ফের গর্জে উঠল কলিমা। তবে পরিমাণে কম।


এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের ঘরে ফেরার অনুমতি দিয়েছে প্রশাসন। তবে জারি থাকছে সতর্কতা। কারণ তাঁরা যেখানে থাকেন, সেই অঞ্চলকে বলা হয় প্যাসেফিক রিং অফ ফায়ার।


আরও পড়ুন- যখন ত্রাসের নাম হ্যারিকেন


ফিলিপ পুয়েন্তে, অসামরিক নিরাপত্তা আহ্বায়কের মতে, আমরা বাসিন্দাদের ফিরে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছি কারণ আমরা জানি না যে ২৪, ৩৬, ৪৮...আরও কত ঘণ্টা চলবে অগ্নুত্‍পাত। তাই বড়সড় বিপত্তি এড়াতে প্রশাসনের সঙ্গে যৌথ ভাবে আগ্নেয়গিরির গতিবিধির  ওপর নজর রাখছে কলিমা বিশ্ববিদ্যালয়। আমরা যদি ঠিক সময় খবর পাই এবং তৈরি থাকি, তাহলে বিপদ ঘটার আগেই বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যেতে পারব।


আরও পড়ুন- 'সার্জিক্যাল অ্যাটাকে' ভারতের পাশে থাকার বার্তা দিল রাশিয়া


মেক্সিকোয় প্রায় তিন হাজার আগ্নেয়গিরি রয়েছে। যারমধ্যে মাত্র ১৪টি কার্ত সক্রিয়। কলিমা তাদের মধ্যে অন্যতম। তাই মাঝে মাঝেই আশাপাশের অঞ্চলের বাসিন্দাদের রাতের ঘুম কেড়ে নেয় কলিমা।