All Souls Day: ভেসে আসছে আত্মার কান্না! `পাপী`দের মুক্তির প্রার্থনায় আজ স্পন্দিত সারা বিশ্ব...
All Souls Day: ক্যাথলিকেরা বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পরে মৃতেরা মূলত তিন জায়গায় পৌঁছন-- ১) স্বর্গে, ২) নরকে, ৩) সংশোধনাগারে। মূল শব্দটা `পারগেটরি`। এখানে সংশোধনাগার মানে মোটেই আজকের ভাষায় কারাগার নয়। এ এমন জায়গা শুদ্ধিকরণ ঘটিয়ে যেখান থেকে আত্মারা স্বর্গে যেতে পারে!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিশ্ব জুড়ে ক্যাথলিক কমিউনিটির মধ্যে দিনটি শ্রদ্ধার সঙ্গে পালিত হয়। ২ নভেম্বর। অল সোলস ডে। মৃতের আত্মার শান্তি কামনার একটি দিন। রোম্যান ক্যাথোলিজমে দিনটির অতীব গুরুত্ব। দিনটি যেহেতু অল সেন্টস ডে'র পরে আসে সেহেতু দিনটিকে অল সোলস ডে হিসেবে নির্বাচন করা হয়। যাঁরা নিছক মানবত্ব থেকে দেবত্বে উত্তীর্ণ হন, তাঁদের সম্মান ও শ্রদ্ধা জানানোর দিন এই অল সেন্টস ডে। এদিন এ উপলক্ষে একটি ভোজেরও আয়োজন করা হয়। আসলে এটি টানা তিনদিনের উদযাপন-- প্রথমে হ্যালোউইন ডে, পরে অল সেন্টস ডে, তার পরে আজকের অল সোলস ডে। যেসব আত্মা কষ্ট পান বলে মনে করা হয়, এদিন তাঁদের জন্য প্রার্থনা জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Indonesian Playboy King: এবার ৮৮তম বিয়েটা সেরে ফেলা যাক! এই দারুণ রঙিন 'প্লেবয় কিং'কে চেনেন?
এ বিষয়ে একটি কিংবদন্তি আছে। পিটার ড্যামিয়ানি জলপথে তীর্থযাত্রা থেকে ফিরছিলেন। হঠাৎই ঝড়ের কবলে পড়ে পথভ্রষ্ট হয়ে তিনি একটি অজানা দ্বীপে গিয়ে পড়েন। সেখানে এক সাধু গোছের মানুষের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়। তিনি বলেন, এখানে পাথরে একটা ফাটল আছে। সেখান থেকে নরকযন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন এমন সব আত্মার কান্না উঠে আসছে। সে কথা জেনে এসে তিনি পরে এই অল সোলস ডের প্রবর্তন করেন।
ক্যাথলিকেরা বিশ্বাস করেন মৃত্যুর পরে মৃতেরা তিনটি জায়গায় পৌঁছন। ১) স্বর্গে, ২) নরকে, এবং ৩) সংশোধনাগারে। মূল শব্দটা 'পারগেটরি'। অর্থাৎ, এখানে সংশোধনাগার মানে মোটেই আজকের ভাষায় কোনও কারাগার নয়। তবে, এ এমন এক জায়গা যেখানে পৌঁছনোর পরেও শুদ্ধিকরণ ঘটিয়ে তাঁরা স্বর্গে যেতে পারেন। জীবদ্দশায় যাঁরা বড় ধরনের পাপকার্যে লিপ্ত থেকেছেন তাঁরা নরকে যান, কিন্তু যাঁরা লঘু পাপ করেন তাঁরাই এই 'পারগেটরি'তে যান। তাঁদের মুক্তির জন্যই এই অল সোলস ডে। এদিনের একটি প্রার্থনাও আছে-- 'ব্লেসড আর দোজ হু হ্যাভ ডায়েড ইন দ্য লর্ড; লেট দেম রেস্ট ফ্রম দেয়ার লেবারস ফর দেয়ার গুড ডিডস গো উইথ দেম' !