জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তিনি একজন অ্যাথলিট।  আমেরিকান ট্র্যাক এবং ফিল্ড অ্যাথলিট। সম্প্রতি ১১টি মেডেল নিয়ে কার্ল লিউইসকে ছাপিয়ে গেলেন। মার্কিন অ্যাথলিটের ইতিহাসে রেকর্ড গড়লেন। ২০২০-২১ সালের ১০০ জন 'মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল পিপল' তালিকায় ঠাঁই পেয়েছিলেন। কে তিনি? অ্যালিসন ফেলিক্স। তিন বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফেলিক্স ২০০ মিটারে ২০১২ সালের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নও ছিলেন। বিশ্বের অ্যাথলিটজমের ইতিহাসে তিনি অমর চরিত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Bangladesh: মসজিদের দানবাক্সে টাকার পাহাড়! ২৩ বস্তা টাকা গুনে কত দাঁড়াল শুনলে মাথা ঘুরে যাবে...


কিন্তু শুধু খেলার জগতে নয়, আর একটি বিষয়ের জন্যও তিনি স্মরণীয়। রীতিমতো একজন সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট, একজন ফেমিনিস্টের ভূমিকাতেও অবতীর্ণ হয়েছিলেন অ্যালিসন ফেলিক্স, এবং সফলও হয়েছিলেন। একার হাতে বদলে দিয়েছিলেন, বদলাতে বাধ্য করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত এক ক্রীড়াসরঞ্জাম নির্মাতা সংস্থার নীতি। 


অ্যালিসন ফেলিক্সের সঙ্গে 'নাইকে'র চুক্তি ছিল। কিন্তু ফেলিক্স যখন অন্তঃসত্ত্বা হলেন তখন 'নাইকে' অন্তঃসত্ত্বা খেলোয়াড়দের জন্য 'গ্যারান্টি স্যালারি প্রোটেকশনে'র যে ঘোষণা করেছিল, তা তাঁকে দিতে অস্বীকার করেছিল। 'নাইকে'র সঙ্গে তাঁর যে এনডোর্সমেন্ট ছিল তা থেকে অন্তত ৭০ শতাংশ কেটে নিয়েছিল কোম্পানিটি। এবং তাঁকে বার্তা পাঠিয়েছিল-- 'নো ইয়োর প্লেস অ্যান্ড জাস্ট রান'!


বিষয়টি ভয়ংকর অপমানজনক লেগেছিল অ্যালিসন অ্যালেক্সের। তখন অ্যালিসিয়া মনতানো ও কারা গাউচারের সঙ্গে একযোগে 'নাইকে'র এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন ফেলিক্স। এই প্রতিবাদ এত দূর পৌঁছেছিল যে, সাধারণ মানুষও এতে সামিল হয়েছিলেন। মূলত তাঁর প্রতিবাদের জেরেই ২০১৯ সাল নাগাদ 'নাইকে'কে তাদের 'মেটারনিটি পলিসি'তে বদল আনতে হয়েছিল। ফেলিক্স যদিও তাঁর চুক্তি ভেঙে 'নাইকে'র সঙ্গে তাঁর সমস্ত সম্পর্ক ছেদ করেন ওই ২০১৯ সালেই। 


এবং 'নাইকে' থেকে বেরিয়ে যাওয়ার দু'বছর পরে, ২০২১ সালে ফেলিক্স নিজের কোম্পানি তৈরি করেন। তিনি নিয়ে আসেন তাঁর নিজস্ব ফুটওয়্যার ব্র্যান্ড 'স্যাশ'। জাপানে অলিম্পিক্সে তিনি তাঁর নিজের কোম্পানির জুতো পায়ে দিয়েই দৌড়েছিলেন। দৌড়েছিলেন নাম না করে 'নাইকে'কে 'আই নো মাই প্লেস' বার্তা দিয়ে। 


আরও পড়ুন: হনুমান জয়ন্তীতে এই রাশির জাতকদের জীবনে ঘটবে সৌভাগ্যের সূর্যোদয়, আসছে সুবর্ণসুযোগ...


শুধু  'নাইকে'কে-ই বার্তা নয়, বার্তা দিয়েছিলেন বিশ্বের অগণিত মহিলা ক্রীড়াবিদকেও, তাঁদের জন্য একটা স্পেস তৈরি করে দিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন-- আমি প্রতিবাদ করেছি আর এই কোম্পানিটি তৈরি করেছি তোমাদের জন্যই। আমি 'নাইকে'র সব থেকে বিজ্ঞাপিত অ্যাথলিট ছিলাম, তা সত্ত্বেও আমি যদি নিজেকে তাদের নীতির কবল থেকে সুরক্ষিত রাখতে না পারি, তাহলে আর কে পারবে?


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)