সেলিম রেজা, ঢাকা: বদলের বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতের কাছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত চাওয়া হয়েছে। তাঁকে ফিরিয়ে না দিলেও দুপক্ষের মধ্যে অনেক স্বার্থের ইস্যু আছে-সেগুলো নিয়ে সামনে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। ঢাকায় বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দেখুন, আমি মনে করি দুটি দেশ পাশাপাশি চলবে। এটি (শেখ হাসিনা) একটি ইস্যু, কিন্তু দুপক্ষের মধ্যে অনেক স্বার্থের ইস্যু আছে। আমরা সেগুলো নিয়ে সামনে এগোব।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটি অনিশ্চয়তা এবং বিশেষ অবস্থার মধ্য দিয়ে কয়েক মাস আমরা পার করেছি। বাংলাদেশে এখন এক ধরনের স্থিতিশীলতা আছে। আমরা আশা করব যে পরিস্থিতি আরও স্থিতিশীল, বৈদেশিক এবং অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি মসৃণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।’


আরও পড়ুন:Chinmoy Krishna Das: চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের জামিনের আবেদন খারিজ, আপাতত জেলেই ঠাঁই সন্ন্যাসীর


বাংলাদেশের সামনে কী ধরনের কূটনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে জানতে চাইলে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘আমরা সব দেশের বিষয়ে মনোনিবেশ করব। আমরা আমাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক চাই, চীনের সঙ্গেও ভালো সম্পর্ক চাই। প্রতিটি ক্ষেত্রে ভালো সম্পর্ক রাখার জন্য আমাদের স্বার্থ আছে। আমি বিশ্বাস করি, যাদের কথা বললাম ভালো সম্পর্কের ক্ষেত্রে, তাদেরও স্বার্থ নিহিত আছে। নতুন বছরের বিষয়ে আমি যথেষ্ট আশাবাদী। এ বছর শেষ হতে হতে আমরা আরও অনেক নিশ্চিত করে বলতে পারবো যে আমাদের প্রতিবেশী এবং অন্যান্য দেশের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয়েছে।’


বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনটি দেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে আমাদের যথেষ্ট অগ্রাধিকার আছে। এই তিন জায়গাতেই আমাদের স্বার্থ নিহিত।’ বাংলাদেশের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান করা। অগ্রাধিকার হচ্ছে তিন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখা। অর্থনৈতিক ও কূটনীতির ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং আরও ভালো পরিস্থিতি তৈরি করা।


উপদেষ্টা বলেন, ‘রাখাইন পরিস্থিতি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। কারণ এখানে গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি পরিবর্তন হয়ে গিয়েছে। আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে এই লোকগুলোকে (রোহিঙ্গা) নিরাপত্তা-সহ ফেরত পাঠানো। এটি না হলে তারা ফেরত যাবে না।’ বাংলাদেশের জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান নিয়ে জাতিসংঘ ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের কাছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সংস্থা এখনও তাদের রিপোর্ট জমা দেয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনও সব রিপোর্ট আসেনি। তবে আসার পথে আছে। আশা করি খুব তাড়াতাড়ি আমরা অবস্থান জানাতে পারব। তারা তাদের রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারবে।’


 



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)