নিজস্ব প্রতিবেদন : ময়না তদন্তের রিপোর্টে লেখা ছিল, স্বাভাবিক মৃত্যু। কিন্তু বিষক্রিয়ার রিপোর্ট বলছিল, স্টিভেন ক্লেটনের রক্তে  বিষাক্ত টেট্রাহাইড্রোজলিন রয়েছে। তা দেখেই প্রথম সন্দেহ হয় তদন্তকারী অফিসারদের। টেট্রাহাইড্রোজলিন সাধারণত কিছু বিশেষ ধরনের চোখের ড্রপে পাওয়া যায়। তদন্তকারী অফিসাররা এর পরই লানা সু ক্লেটন নামের সেই মহিলাকে জেরা করতে শুরু করেন। একটা সময় পর ভেঙে পড়েন পেশায় নার্স সেই মহিলা। স্বীকার করে নেন, তিনিই তাঁর স্বামীকে জলের মধ্যে আই ড্রপ মিশিয়ে খাইয়ে খুন করেছেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লানা সু ক্লেটন জানিয়েছেন, স্বামীকে খুন করার উদ্দেশ্য তাঁর ছিল না। তিনি চেয়েছিলেন, স্টিভেন যেন ভয়ঙ্কর ডায়েরিয়ার ভোগেন কিছুদিন। স্টিভেন তাঁর উপর অত্যাচার করতেন। শারীরিক নিগ্রহ থেকে শুরু করে মানসিক নির্যাতন, স্টিভেনের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন লানা। তাই প্রতিশোধ স্পৃহা থেকেই তিনি এমনটা করেছেন বলে জানিয়েছেন। তবে আদালতে আইনজীবীদের দাবি ছিল, এর আগেও লানা তাঁর স্বামীকে হত্যার ছক কষেছিলেন। তির ছুঁড়ে মারার পরিকল্পনা ছিল তাঁর। মার্কিন নার্স লানা সাউথ ক্যারোলিনার বাসিন্দা। আদালতকে তিনি জানিয়েছেন, স্বামীর অত্যাচার তাঁকে মানসিকভাবে পর্যদুস্ত করে তুলেছিল।


আরও পড়ুন- সাংবাদিকতার ইতিহাসে প্রথম! রাজার পোশাকে, হাতে তলোয়ার নিয়ে খবর পড়লেন সঞ্চালক


খুনের ধরণ দেখে তাজ্জব হয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। হলিউডের সিনেমা থেকেই লানা এমন আইডিয়া পেয়েছেন বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। আই ড্রপ মেশানো জল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন স্টিভেন। তার পর ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। গ্রেফতার করা হয়েছে লানাকে। ২০১৮ সালে ২৫ বছর বয়সী লানা তাঁর স্বামীকে খুন করেছেন বলে অভিযোগ।