নিজস্ব প্রতিবেদন- জডি ক্রিউ ও তাঁর আট বছরের মেয়ে রোজই সমুদ্রের ধারে ঘুরতে যান। এর মধ্যে একদিন বিচ-এ তাঁরা একটি পরিত্যক্ত জিনিস পড়ে থাকতে দেখেন। জডি ভাবেন, সেটা হয়তো ফসিল বা কোনও প্রাণীর হাড়। মা-মেয়ে ওই জিনিসটিকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর পর জডি সেই জিনিসের ছবিও পোস্ট করেন ফেসবুকে। তাঁর বন্ধুদের কাছে জানতে চান, এই জিনিসটা আসলে কী! কেউ বলেন, ওটা কোনও লুপ্তপ্রায় প্রাণীর হাড়। কেউ আবার বলেন, ওটা তিমি মাছের বমি। শুকিয়ে ওরকম আকার ধারণ করেছে। তবে জিনিসটা যে আসলে কী, তা কেউই বুঝতে পারছিলেন না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত কয়েকদিন ধরে বাড়ির এক কোণে রাখা ছিল সেই জিনিস। প্রায় রোজই জডি সেটার রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা করতেন। কিন্তু একবারও বুঝতে পারেননি যে সেই জিনিসটা আসলে গ্রেনেড। তাও ৭৫ বছরের পুরনো। জডি বলছিলেন, ''আমি কেন, কেউই বুঝতে পারেনি যে ওটা গ্রেনেড। আসলে আমরা যেমন গ্রেনেড দেখি, ওটার আকার সেরকম নয়। আমি ওটাকে রান্নাঘরের একপাশে রেখে দিয়ে আসি। তবে ওটার সম্পর্কে কোনও ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছিলাম। এর মধ্যে একদিন দেখলাম মেয়ে ছুটে এসেছে আমার কাছে। হাঁফাতে হাঁফাতে ও বলল, মা ওই জিনিসটাতে আগুন ধরে গিয়েছে। আমি দেখলাম সত্যিই তাই হয়েছে।''


আরও পড়ুন-  গুগল ম্যাপে ভুল পথ নির্দেশ, রাস্তা হারিয়ে বরফে জমে মৃত্য়ু তরুণের


জডি আরও বলেন, ''কিছুক্ষণের মধ্যেই আমি ওই জিনিসটকে হাতে করে তুলে রান্নাঘরের বেসিনে ফেলে দিই। তখনও ওটা জ্বলছিল। তার পর ওটার উপর ভেজা টাওয়াল ছুড়ে দিই। কিন্তু এর পরই প্রবল বিস্ফোরণে ওটা ফাটে। আমরা রান্নাঘরে থাকলে হয়তো বড় ক্ষতি হতে পারত। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে রান্নাঘরের এক পাশের দেওয়ারে আগুন ধরে যায়। আমি ততক্ষণে মেয়ে ও বাড়ির পোষ্যদের নিরাপদে রেখে আসি। পরে জানা যায়, ওই জিনিসটা আসলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার একি গ্রেনেড। কিন্তু ৭৫ বছরের পুরনো সেই গ্রেনেডে বিস্ফোরণ হল কী করে, তা এখনও বুঝতে পারছি না।''