গর্ভপাত বিরোধী আইনের প্রতিবাদে টেক্সাসে পেশ হল প্রতীকী `হস্তমৈথুন বিরোধী বিল`
`শিব ঠাকুরের আপন দেশে,/ আইন কানুন সর্বনেশে!/ কেউ যদি যায় পিছ্লে প`ড়ে/ প্যায়দা এসে পাক্ড়ে ধরে...`-এমনই লিখেছিলেন সুকুমার রায়। তবে এবার `পিছ্লে প`ড়লে` পেয়াদা এসে পাকড়ে ধরতেও পারে আমেরিকার টেক্সাসে। কারণ, আজ টেক্সাস আইন সভায় `হস্তমৈথুন বিরোধী বিল` পেশ করেছেন মহিলা ডেমোক্র্যাট সদস্য জেসিকা ফারার। সেই বিল অনুসারে, `নারী শরীরের যোনির বাইরে বীর্যপাত` হলে ১০০ মার্কিন ডলার জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং এই `অপরাধ`কে `অনাগত শিশুর বিরুদ্ধে করা অন্যায়` হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এমন একটা বিল কি কখনও সম্ভব?
ওয়েব ডেস্ক: "শিব ঠাকুরের আপন দেশে,/ আইন কানুন সর্বনেশে!/ কেউ যদি যায় পিছ্লে প'ড়ে/ প্যায়দা এসে পাক্ড়ে ধরে..."-এমনই লিখেছিলেন সুকুমার রায়। তবে এবার 'পিছ্লে প'ড়লে' পেয়াদা এসে পাকড়ে ধরতেও পারে আমেরিকার টেক্সাসে। কারণ, আজ টেক্সাস আইন সভায় 'হস্তমৈথুন বিরোধী বিল' পেশ করেছেন মহিলা ডেমোক্র্যাট সদস্য জেসিকা ফারার। সেই বিল অনুসারে, 'নারী শরীরের যোনির বাইরে বীর্যপাত' হলে ১০০ মার্কিন ডলার জরিমানার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে এবং এই 'অপরাধ'কে 'অনাগত শিশুর বিরুদ্ধে করা অন্যায়' হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এমন একটা বিল কি কখনও সম্ভব?
বিলটি যিনি এনেছেন সেই জেমোক্র্যাট সদস্য জেসিকার মতে এই বিল একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়, বরং হাস্যকর, অস্বাভাবিক ও অবাস্তব। কিন্তু তাহলে তিনি এমন একটা বিল নিজে কেন পেশ করলেন? আসল প্রশ্ন এটাই। আর এখানেই লুকিয়ে রয়েছে গোটা বিষয়টির তাত্পর্য।
জেসিকা ফারারের এই 'হাস্যকর' 'হস্তমৈথুন বিরোধী বিল' আসলে রিপাবলিকানদের পেশ করা 'গর্ভপাত বিরোধী' আইনের বিরুদ্ধে একটি প্রতীকী প্রতিবাদ। আর এই প্রতিবাদকে তীব্রমাত্রায় তুলে ধরতেই জেসিকা তাঁর পেশ করা 'হস্তমৈথুন বিরোধী বিল'-এ বেছে বেছে সেই সব আইনি পরিভাষাই ব্যবহার করেছেন যা বাস্তবে 'গর্ভপাত বিরোধী' বিলে রয়েছে। আর এর মধ্যে দিয়েই তিনি বোঝাতে চেয়েছেন 'গর্ভপাত বিরোধী' আইনও কতটা হাস্যকর ও অবাস্তব। (আরও পড়ুন- জন এফ. কেনেডি, হার্বার্ট হোভারের সঙ্গে একই সারিতে ঠাঁই ট্রাম্পের)