জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ধ্বংসস্তূপ থেকে যথারীতি ফিনিক্সের মতো উঠে আসতে চলেছে এটি। নাম তার আন্তনভ-২২৫। রুশ হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় এটি। উড়োজাহাজটি 'ম্রিয়া' নামে পরিচিত। ইউক্রেনীয় শব্দ 'ম্রিয়া'র অর্থ-- স্বপ্ন। অফিশিয়ালি এটিই ছিল বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো উড়োজাহাজ। বোয়িং ৭৪৭-এর প্রায় দ্বিগুণ ধারণক্ষমতা এর। এর দুটি ডানা ২৭৫ ফুট পর্যন্ত প্রসারিত হতে পারত। এখন পর্যন্ত এটিই সবচেয়ে ভারী ও বড় উড়োজাহাজ। ২৭ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা ট্যুইট করে রুশ আক্রমণে উড়োজাহাজটি ধ্বংস হওয়ার খবর জানিয়েছিলেন। তিনি সেদিন লিখেছিলেন-- রাশিয়া হয়তো ম্রিয়াকে ধ্বংস করেছে...কিন্তু তারা কখনোই আমাদের শক্তিশালী, স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক ইউরোপীয় রাষ্ট্রের স্বপ্নকে ধ্বংস করতে পারবে না!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: World's Biggest Artificial Sun: তৈরি হচ্ছে দ্বিতীয় এক 'সূর্য'! কবে সেটি পাবে এই গ্রহ?


আন্তোনভ কোম্পানি জানিয়েছে, হামলার পর তারা বিমানের ঠিক কী হয়েছিল তা বুঝতে পারেনি। তবে সাংবাদিক ভাসকো কোতোভিউ বলেন, তিনি এপ্রিলে উড়োজাহাজটি দেখে এসেছেন। সরাসরি গোলার আঘাতে উড়োজাহাজটির সামনের অংশে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ভাসকো বলেন, উড়োজাহাজটির ডানা ও কয়েকটি ইঞ্জিন যথেষ্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। হামলায় বিমানটির পেছনের অংশে বড় কোনো ক্ষতি না হলেও সেখানে বুলেট বা গোলা বিস্ফোরণের কারণে কিছু গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।


আন্তোনভ কোম্পানি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রদর্শনীর উদ্বোধনকালে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ওলেক্সি মেকিয়েভ বলেছিলেন, তিনি এএন-এর প্রায় সব উড়োজাহাজে উড়েছিলেন। তার পরেও ম্রিয়া তাঁর জন্য একটি স্বপ্ন। তিনি বলেন, আমরা আশা করি, এই উড়োজাহাজ ঠিকই মেরামত করা হবে এবং আমরা এই শক্তিশালী পাখিটিকে আবার আকাশে দেখতে পাব।


১৯৮০–র দশকে সোভিয়েত মহাকাশ যান পরিবহণের জন্য এটি তৈরি হয়েছিল। ১৯৮৮ সালে এটি আকাশে উড়তে শুরু করে। তার পর থেকে কত কত রেকর্ড যে এ তৈরি করেছে তার ইয়ত্তা নেই। এটি নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অতুলনীয়। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)