নিজস্ব প্রতিবেদন— নোভেল করোনাভাইরাস! এই শব্দটাই এই মুহুর্তে সারা বিশ্বে আতঙ্কের আরেক নাম। করোনা সংক্রমণের জেরে সারা বিশ্বে হু হু করে বেড়ে চলেছে মৃত ও আক্রান্তর সংখ্যা। কয়েক দিনেই এই মারণ ভাইরাসের জেরে মৃত্যুপুরী হয়ে উঠেছে সারা বিশ্ব। বিশ্বের সব দেশের একই ছবি, স্বজন হারানোর হাহাকার। মৃত্যুর সংখ্যাটা মাত্র ১৫ দিনে দ্বিগুণ হয়েছে। ১০ এপ্রিল সারা বিশ্বে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যাটা ছিল ১ লক্ষের আশেপাশে। ১৫ দিন বাদে, ২৫ এপ্রিল সেই সংখ্যাটা দুলক্ষের ঘরে। অর্থাৎ দ্বিগুণ ছাড়িয়ছে। এখন পর্যন্ত সারা বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যাটা ২৯ লক্ষেরও বেশি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অন্য মহাদেশগুলির তুলনায় ইউরোপের ছবিটা সবচেয়ে ভয়াবহ। শুধুমাত্র ইউরোপেই করোনার আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় এক লক্ষ ২২ হাজার মানুষ। সব দেশের তুলনায় করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মার্কিন যুক্তরাস্ট্র। ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশে করোনায় প্রাণ গিয়েছে ৫৩ হাজারেরও বেশি মানুষের। ইতালি ও স্পেনে মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ২৬ হাজার ৩৮৪ ও ২২ হাজার ৯০০ জনের। সারা বিশ্বের যখন বেহাল দশা তখন নিজেদের কিছুটা হলেও সামলে নিয়েছে উৎপত্তিস্থল চিন। 


আরও পড়ুন— প্রয়াত উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং, প্রকাশ্যে আসা এক ছবি ঘিরে জল্পনা!


গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, নোভেল-জয়ীরা ফের করোনা আক্রান্ত হতে পারেন। তাই কেউই সুরক্ষিত নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বারবার বলে আসছে প্রতিষেধকই হলো করোনা যুদ্ধ জেতার একমাত্র অস্ত্র। কিন্তু বিজ্ঞানীরা হন্যে হয়ে গবেষণা করেও প্রতিষেধক আবিষ্কার করে উঠতে পারেননি এখনও। সঙ্কটের সময় যে এত তাড়াতাড়ি কাটবে না সেটা সবাই যেন আন্দাজ করতে পারছেন। প্রাথমিক ভাবে আশা দেখিয়েও ক্লিনিকাল ট্রায়ালে তেমন ফল মেলেনি রেমডেসেভিরে। নতুন করে অন্য প্রতিষেধকের ক্লিনিকাল ট্রায়াল চলছে। আর সেই ট্রায়ালের ইতিবাচক ফলের আশায় বুক বাঁধছেন বিশ্বের ৭০০ কোটি মানুষ।