নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্ম অবমাননা করার দায় থেকে মুক্ত পাক নাগরিক আসিয়া বিবি দেশেই রয়েছেন। জানিয়ে দিল পাকিস্তান। এনিয়ে সংবাদমাধ্যমে তাঁর দেশ ছাড়ার যে খবর প্রকাশ প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যে। এমনটাই জানাল পাকিস্তান সরকার।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কালোটাকা উদ্ধারে ব্যর্থ নোট বাতিল, দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে কার্যত মানলেন জেটলি


উল্লেখ্য, বুধবার মুলতানের কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয় খ্রিষ্টান মহিলা আসিয়া বিবিকে। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর মৃত্যুদণ্ড খারিজ করে দেয়। এরপরই দেশজুড়ে এনিয়ে প্রবল আলোড়ন শুরু হয়ে যায়। রাস্তায় নেমে পড়ে কট্টরপন্থী সংগঠনগুলি। রটে যায় তাঁকে দেশ থেকে বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে ইমরান খান সরকার। শেষপর্যন্ত আসিয়াকে দেশ ছাড়তে দেওয়া হবে না বলে কথাবার্তা শুরু করে পাক সরকার।


পাক সংবাদমাধ্যমের একাংশে খবর রটে যায়, আসিয়া বিবিকে নেদারল্যান্ডসে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁকে রাওয়ালপিন্ডির নুর খান সেনা ঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখান থেকে তাঁকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এক পাক সংবাদমাধ্যমে লেখা হয়, মুলতানের মহিলা জেল থেকে আসিয়া বিবিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বুধবার মধ্যরাতে। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় রাওয়ালপিন্ডি বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। সেখান থেকে একটি চাটার্ড বিমানে তাকে নেদারল্যান্ডসে নিয়ে যাওয়া হবে। অন্যান্য একাধিক চ্যানেলে প্রায় একইরকম খবর দেওয়া হয়।


আরও পড়ুন-ফের মাও হামলা দান্তেওয়াড়ায়, ল্যান্ড মাইন বিস্ফোরণে উড়ে গেল CISF-এর বাস


ওই খবর প্রবল চাপে পড়ে যায় ইমরান খান সরকার। কারণ আগে থেকেই বিশ্বের একাধিক দেশ আসিয়াকে আশ্বায় দেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল। বাধ্য হয়েই বৃহস্পতিবার বিবৃতি দেন পাক বিদেশ দফতরের মুখপাত্র মহম্মদ ফাইসল। তিনি সংবাদমাধ্যমে বলেন, আসিয়া বিবি দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন বলে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা মিথ্যে। পাশাপাশি পাক তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরি বলেন, প্রচার পাওয়ার জন্য ভুল খবর দেওয়া এখন রেওয়াজ হয়ে গিয়েছে। আসিয়া বিবির মামলাটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। এই ধরনের খবর রটানো একবারেই সমীচীন নয়।


এনিয়ে ইমরান সরকারকে বিঁধতে ছাড়ছে না তেহরিক-ই-লাব্বাইক। দলের মুখপাত্র হাফিস শাহবাজ আটারি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, ইমরান খান সরকার আসিয়া বিবিকে ছেড়ে দিয়েছে। নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদুত নিজে মুলতান জেলে এসেছিলেন। একথা সরকারি আধিকারিকরাও বলছেন। তাঁকে নেদারল্যান্ডসে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে।