কালোটাকা উদ্ধারে ব্যর্থ নোট বাতিল, দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে কার্যত মানলেন জেটলি
দু'বছর আগে ৮ নভেম্বর রাতে দেশের সমস্ত ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দূরদর্শনে এক ভাষণে মোদী বলেন, দেশে কালোটাকার কারবার রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার।
নিজস্ব প্রতিবেদন: নোট বাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে ফের একবার মুখ বাঁচাতে মুখ খুললেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। জেটলির দাবি, কালো টাকা উদ্ধার নয়, নোট বাতিলের লক্ষ্য ছিল করফাঁকি রোখা। সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছে সরকার।
দু'বছর আগে ৮ নভেম্বর রাতে দেশের সমস্ত ৫০০ ও ১,০০০ টাকার নোট বাতিল বলে ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দূরদর্শনে এক ভাষণে মোদী বলেন, দেশে কালোটাকার কারবার রুখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাঁর সরকার। এমনকী এই পদক্ষেপে কাজ না হলে দেশবাসী যে সাজা দেবে তা তিনি মাথা পেতে নেবেন বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।
আর কোনও ছবিতেই সই করছেন না অনুষ্কা! গুঞ্জন, বাবা হচ্ছেন বিরাট
শুরু থেকেই নোট বাতিলের বিরোধিতায় সরব হয়েছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, নোট বাতিলের ফলে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে পুরনো নোট বদলাতে গিয়ে হয়রানির মুখে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলেও দাবি তোলে একাধিক বিরোধী দল।
বৃহস্পতিবার নোটবাতিলের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে এক ফেইসবুক পোস্টে সিদ্ধান্তের পক্ষে সাফাই দেন অরুণ জেটলি। তাতে তিনি লিখেছেন, 'প্রাতিষ্ঠানিক অর্থনীতির প্রসারের জন্য সরকার যে সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে তারই একটি নোট বাতিল।'
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে সেই সময় বাজারে থাকা ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটের ৯৯.৩ শতাংশই ব্যাঙ্কে জমা পড়েছিল। ফলে নোট বাতিলের সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এদিন জেটলির বক্তব্যে স্পষ্ট, কালো টাকা উদ্ধারের জিগির তুলে নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হলেও শেষ পর্যন্ত তাতে সফল হয়নি সরকার। ফলে নোটবাতিলের পরোক্ষ পাওনাগুলিকে প্রত্যক্ষ হিসাবে দেখাতে চাইছেন জেটলি।