জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ইজরায়েলি হামলায় গাজায় এখনওপর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। তার মধ্যে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি শিশু। গাজার দুই তৃতীয়াংশ মানুষ ঘরছাড়া। প্রাণভয়ে তাঁরা ছুটছেন দক্ষিণের দিকে। এরকম এক পরিস্থিতিতে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সের দাবি, ১৬ বছর পর গাজার কর্তৃত্ব হারিয়েছে হামাস। আর ইজরায়েলের ক্রমাগত বোমাবর্ষণে গাজার হাসপাতালগুলিতে উপচে পড়ছে মানুষের লাশ। গাজার আল শিফা হাসপাতাল চত্বরে গণকবর দেওয়া হয়েছে ১৭৯ জনকে। এদের মধ্যে রয়েছে বহু শিশু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার বদলা! জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য


গাজার ওই বৃহত্তম হাসপাতালের প্রধান মহম্মদ আবু সালমাইয়া সংবাদমাধ্য়মে বলেন, ভয়ংকর মানবিক সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছি আমারা। বাধ্য হয়েই হাসপাতালে চত্বরে আমরা মৃতদের গণকবর দিতে বাধ্য হয়েছি। হাসপাতালে বিদ্যুত্ চলে যাওয়ার পর ২৯ জন রোগী ও ৭ শিশুর মৃতদেহ আমরা গণকবর দিয়েছি। হাসপাতালে পড়ে রয়েছে বহু মৃতদেহ। ডক্টরস ইউদাউট বর্ডার-এর এক চিকিত্সক সংবাদমাধ্যমে ববেন, অমানবিক পরিস্থিতি। হাসপাতালে বিদ্যুত্ নেই। জল পর্যন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে।


চারদিকে যখন আহতের ছড়াছড়ি সেইসময় আল শিফা হাসপাতালের গেটে এসে দাঁড়িয়েছে ইজরায়েলি ট্যাঙ্ক। গত সপ্তাহে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতাল থেকে বাইরের জগতের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। ইজরায়েলের দাবি, হাসপাতালের সঙ্গে হামাসের টানেলের যোগাযোগ রয়েছে। হাসপাতাল ও রোগীদের মানুষ্য ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। হাসপাতালেই রয়েছে হামাসের আড্ডা।


রাষ্ট্রসংঘের বক্তব্য, আক্রান্ত গাজায় ১০ হাজারেরও বেশি অসুস্থ কিংবা আহত মানুষ আটকে রয়েছেন। আল শিফা হাসপাতালেও বহু মানুষ আটকে রয়েছেন। প্রবল গোলাগুলির জন্য তারা বাইরে বের হতে পারছেন না। প্রসঙ্গত, গাজার অন্যতম বড় হাসপাতাল আল কুদসের সঙ্গেও গত এক সপ্তাহ দুনিয়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী হাসপাতাল, রোগী, স্বাস্থ্যকর্মীদের যুদ্ধের আওতা থেকে বাইরে রাখা হয়। কিন্তু হাসপাতালেই বোমা ফেলেছে ইজরায়েল।


ওই হাসপাতালে দেখা গিয়েছে সাতটি শিশুকে হাসপাতালে একই কাপড়ে জড়িয়ে রাখা হয়েছে। চিকিত্সা সরঞ্জমের এতটাই অভাব। এরা সবাই সময়ের আগে জন্ম নিয়েছে। এদের এখন ইনকিউবেটরে রাখা প্রয়োজন। বিদ্যুত্ না থাকায় সেই ব্যবস্থা করা যাচ্ছে ন। তাই তাদের রাখা হয়েছে সাধারণ বেডে কার্ডবোর্ডের উপরে। হাসপাতালের চিকিত্সক ডা মহম্মদ তাবাসা সংবাদমাধ্যমে জানান, গতকাল ৩৯ শিশু জন্ম নিয়েছিল, আজ এসেছে ৩৬ জন। জানি না ওরা কতক্ষণ আর বাঁচবে।      


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)