Joynagar Murder: মিথ্যে মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার বদলা! জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
Joynagar Murder:তদন্তে উঠে আসছে স্থানীয় যুবক আনিসুর ছাড়াও ঘটনার নেপথ্যে বড় মাথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই শাহারুল সেখ নামে এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বহু তথ্য উঠে এসেছে
বিক্রম দাস:জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্কর খুনে বিস্ফোরক তথ্য এখন পুলিসের হাতে। মিথ্যে মামলায় ফাঁসানের বদলা নিতেই কি সইফুদ্দিনকে খুন করা হয়েছে? এমনই এক সম্ভাবনার কথা উঠে আসছে। খুনের ষড়যন্ত্রে জড়িত আনিসুর-সহ আরও কয়েকজন। অভিযোগ, অভিযুক্তদের বিভিন্ন সময়ে মিথ্যে মামলায় ফাঁসায় সইফুদ্দিন। তাই সইফুদ্দিনকে সরিয়ে দিতে পরিকল্পনা করা হয়। শেষপর্যন্ত সুপারি কিলার দিয়েই সইফুদ্দিনকে খুন করা হয়।
আরও পড়ুন-১ লক্ষ টাকায় ভাড়াটে খুনি? মূল চক্রী কে? জয়নগরকাণ্ডে ক্লু পুলিসের হাতে
তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি সইফুদ্দিন লস্করকে খুনের পেছনে কারণ কী, তদন্তে নেমে সেটাই খুঁজতে শুরু করে পুলিস। প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পুলিসের হাতে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে কোনও রাজনৈতিক কারণ নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতাতেই এই খুন হয়েছে। কিন্তু কেন এই আক্রোশ? তদন্ত নেমে পুলিস জানতে পারছে যারা অভিযুক্ত তাদের সঙ্গে শত্রুতা তৈরি হয়েছিল সইফুদ্দিনের। কারণ তাদের ধারনা ছিল সইফুদ্দিন লস্কর তাদের মিথ্যে মামলায় ফাঁসিয়েছে। এরকমই ৩-৪ জন সইফুদ্দিনকে খুনের ছক করে। সেখানে আনিসুরেরও একটি ভূমিকা ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী তার একটি সুপারি কিলার ভাড়া করে। ভাড়াকরা খুনিরাই মসজিদের পথে সইফুদ্দিনকে গুলি করে খুন করে।
তদন্তে উঠে আসছে স্থানীয় যুবক আনিসুর ছাড়াও ঘটনার নেপথ্যে বড় মাথা রয়েছে। ইতিমধ্যেই শাহারুল সেখ নামে এক সুপারি কিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ কতরে বহু তথ্য উঠে এসেছে। জানা যাচ্ছে রাজনৈতিক কোনও বিষয় নয়, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই খুন করা হয়েছে। গোটা ঘটনা ও এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকা ঘটনাগুলি জেরে মোট ৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে। একটি হল সাইফুদ্দিন লস্কর খুনের মামলা, সুপারি কিলার সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। তাতেও একটি মামলা হয়েছে। অন্যদিকে, ওই হত্যাকাণ্ডের জেরে গ্রামে যে তাণ্ডব চলে তা নিয়েও একটি মামলা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে শাহারুল সেখ পেশায় দর্জি হলেও চুরি, ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত ছিল। খুনের আগে সইফুদ্দিন লস্করের পাড়ার একটি বাড়িতে চার দিন তাকে রাখা হয়। সইফুদ্দিনের গতিবিধির উপরে লক্ষ্য রাখতেই শাহরুলকে আগেভাগে এনে রাখা হয়। ঘটনার পর অন্য এক আততায়ীকে পিটিয়ে মেরেছে জনতা। শাহারুলের বক্তব্য নাসির বলে একজন ওই খুনের সুপারি দিয়েছিল।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)