নিজস্ব প্রতিবেদন: মিশন সফল। দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান খুদে ফুটবলারদের আত্মীয়দের-ও। দেশ-বিদেশ থেকে আসা উদ্ধারকারী দলের কর্মীরা আপ্লুত। কেনই বা হবে না! ১৩টি প্রাণ ‘যমের গুহার’ থেকে সযত্নে বাঁচিয়ে এনেছেন যে তাঁরা। সবার মুখে যখন তৃপ্ত হাসি, তখন অস্ট্রেলিয়ার চিকিত্সক এবং ডুবুরি রিচার্ড হ্যারির মনে পড়ে রয়েছে বাড়ির দিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- সাবমেরিন নিয়ে থাইল্যান্ডের গুহায় পৌঁছে গেলেন স্পেসএক্সের সিইও


মঙ্গলবার ১৩ জনকে উদ্ধার করার সুখবরটা আসার সঙ্গে সঙ্গে একটি দুঃসংবাদও হ্যারির কাছে এসে পৌঁছয়। প্রয়াত তাঁর বাবা। সে খবর শোনার পরও এতটুকু বিচলিত হননি তিনি। তাঁর সামনে যে বিশাল দায়িত্ব, সে দিকেই ব্যস্ত ছিলেন হ্যারি। ফুটবলারদের বাইরে এনে, তাদের প্রাথমিক চিকিত্সা করে হাসপাতালে পাঠানো- এই সবের মধ্যেই তখন বুঁদ তিনি। 


আরও পড়ুন- অবশেষে স্বস্তি, গুহার গ্রাস থেকে মুক্ত ১৩ প্রাণ


কেভিং জগতে হ্যারি নামেই পরিচিত অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত এই ডাইভার। এসএএএস মেডস্টার যখন হ্যারিকে জানায় থাইল্যান্ডের গুহায় আটকে থাকা শিশুদের উদ্ধারকাজে সাহায্য করতে হবে, সব ছুটি বাতিল করে রাজি হয়ে যান তিনি। থাম লুয়াং গুহার বিপদসঙ্কুল পরিবেশ থেকে  বাচ্চাদের বার করায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল হ্যারির। মেডস্টারের কর্ণধার অ্যান্ড্রু পিয়ার্স জানান, “এমন খুশির দিনে হ্যারির এই দুঃসংবাদ সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। গত কাল রাতেই তাঁর বাবা মার যান। তবে, আমাদের অভিযান সফল হওয়ার পরই হ্যারিকে এই দুঃসংবাদ দেওয়া হয়।”



আরও পড়ুন- তন্দ্রাচ্ছন্ন করেই ফুটবলারদের বার করা হয় থাই গুহা থেকে


থাইল্যান্ডে চ্যাং রাই এলাকায় অস্ট্রেলিয়ার ২০ জনের একটি দলের সঙ্গে কাজ করছেন রিচার্ড হ্যারি। শেষ তিন দিনের চূড়ান্ত অভিযানে ১৩ জনকেই উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর তাদের চ্যাং রাইয়ের একটি হাসাপাতালে ভর্তি করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার বিদেশমন্ত্রী জুলি বিশপ হ্যারির এই দুসাহসিকতার প্রশংসা করেন। হ্যারি-সহ গোটা টিমকে অস্ট্রেলিয়া সরকারের তরফে সম্বর্ধনা দেওয়া হবে বলে জানান জুলি।