নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলাদেশে ২১ অগাস্টের ঢাকায় আওয়ামি লিগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলায় ঘটনায়  বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান-সহ ১৯ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল আদালত। অভিযুক্ত বাকি ১৭ জনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।  উল্লেখ্য, যাবজ্জীবন সাদাপ্রাপ্ত ১৯ জন আসামীর মধ্যে ১৩ জনই পলাতক। বুধবার রায়দানের সময়ে আদালতে উপস্থিত ছিলেন ৬ জন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার বিশেষ জজ আদালতের   বিচারক  শাহেদ  নূর উদ্দীন এই রায় দেন। এর মধ্য দিয়েই শেষ হল ১৪ বছর আগে  ঘটা  নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের বিচার।


আরও পড়ুন: অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন দুই মার্কিন- নর্দাউস ও রোমার


প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ অগাস্টে ঢাকায় আওয়ামি লিগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়। ঘটনায় প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান-সহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন বহু।  সেদিন হামলায়  গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয় আওয়ামি লিগের বর্তমান নেত্রী তথা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রবণশক্তিও।   ২০০৯ সালের  আওয়ামি লিগের নেতৃত্বে মহাজোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় সিআইডি।  মোট ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।


এই ঘটনায় বিএনপি নেতা তারেক রহমান, তত্কালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুত্ফুজ্জামান বাবর, হারিছ চৌধুরী-সহ ৪৯ জনের নাম অভিযুক্তের তালিকায় উঠে আসে। ২০১১ সালে  রিপোর্ট জমা দেয় সিআইডি।  তারেক রহমান সহ ১৮ জনকে পলাতক দেখিয়ে শুরু হয় বিচারপ্রক্রিয়া।


আরও পড়ুন: মোদীর পথেই ইমরান, পাকিস্তানেও শুরু স্বচ্ছতা মিশন


আদালতে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন তত্কালীন  কয়েকজন সেনা আধিকারিক।  তাঁরা প্রত্যেকেই  জোট   সরকারের আমলে ডিজিএফআই ও র‍্যাবের গোয়েন্দা শাখায় কর্মরত ছিলেন। এই ঘটনায় ১১ পুলিসকর্মী সহ কয়েক সেনা আধিকারিকেরও বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড হয়।


গ্রেনেড হামলায় মূল  চক্রী ফরিদপুরের বাসিন্দা মেহবুব মুস্তাকিম ও আনিসুর  মুরসালিনের  ঠাঁই তিহার জেলে। গত সাত বছর ধরে তিহার জেলই তাদের ঠিকানা।


এদিন রায় ঘোষণার পর বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘‘তারেক রহমান গ্রেনেড হামলার মূল চক্রী। তার ফাঁসি হওয়া উচিত্। আমি তারেকের ফাঁসির জন্য আবেদন করব।’’ অন্যদিকে, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘‘আমরা এই রায়ে অসন্তুষ্ট নই। তবে এটাও বলতে চাই, এই রায়ে পুরোপুরি খুশিও নই আমরা।’’