২০০ বছরের গুরুদ্বার পুনরুদ্ধার পাকিস্তানে, শিখ সম্প্রদায়ের কয়েক দশকের লড়াই সার্থক
এই গুরুদ্বার পুনরুদ্ধারের জন্য বালুচিস্তানের শিখ সঙ্গত কয়েক দশক ধরে লড়াই চালিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- কয়েক দশক ধরে তাঁরা এই গুরুদ্বার পুনরুদ্ধারের জন্য লড়াই চালিয়েছেন। এতদিন পর সেই লড়াই সার্থকতা পেল। দেশভাগের ৭৩ বছর পর বালুচিস্তানের কোটা শহরের এই গুরুদ্বার আবার শিখদের জন্য খুলে দেওয়া হল। দেশভাগের আগে ওই অঞ্চলে প্রচুর শিখ সম্প্রদায়ের মানুষ থাকতেন। কিন্তু দেশভাগের সময় অনেকেই সেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হন। ভিটেমাটি ছেড়ে শুধু প্রাণটুকু হাতে নিয়ে অজানার উদ্দেশে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। এর পরই ২০০ বছরের পুরনো গুরুদ্বার সিংহ সভা দখল হয়ে যায়। স্থানীয় প্রশাসন ওই গুরুদ্বার বদলে সরকারি স্কুল করে দিয়েছিল। তবে ইমারতের কোনোরকম ক্ষতি কেউ করেনি।
এই গুরুদ্বার পুনরুদ্ধারের জন্য বালুচিস্তানের শিখ সঙ্গত কয়েক দশক ধরে লড়াই চালিয়েছে। হাইকোর্টে মামলা পর্যন্ত করা হয়েছিল। দিনকয়েক আগে বালুচিস্তানের সরকার স্কুল বন্ধ করে ওই গুরুদ্বার শিখ সমপ্রদায়কে ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। ইমারতের তেমন ক্ষতি হয়নি। তবে একটি দেওয়ার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল। তা মেরামত করে এই গুরুদ্বার আবার শিখদের প্রার্থনার জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তানে শিখ গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটির সদস্য জসবীর সিং জানিয়েছেন, এই গুরুদ্বারের ইতিহাস ২০০ বছরের পুরনো। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পর বালুচিস্তানের শিক্ষা বিভাগ স্কুল বন্ধ করে দেয়। তবে স্কুল চলাকালীন এই গুরুদ্বারের ইমারতে কোনও ক্ষতি করেনি কেউ। এমনকী বহুপুরনো এই গুরুদ্বারের বিভিন্ন জায়গায় অনেক প্রাচীন চিহ্ন রয়েছে। সেগুলিও অক্ষত অবস্থাতেই আছে।
আরও পড়ুন- খবরের কাগজের সঙ্গে সাঁটা সার্জিকাল মাস্ক! সাতসকালে অবাক হলেন পাঠকরা
গুরুদ্বারে প্রবেশ পথের সামনে এখনো সাদা পাথরের উপর পাঞ্জাবি ভাষায় লেখা রয়েছে- গুরুদ্বার সিংহ সভা কোইটা। দেশভাগের পর এই এলাকার অনেক গুরুদ্বার ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী শিখ সম্প্রদায়ের প্রার্থনা করার মতো গুরুদ্বার ছিল না। তবে বালুচিস্তানে এখনো ১৫টি গুরুদ্বার দখল করে রেখেছে প্রশাসন। সেগুলি পুনরুদ্ধারের জন্যও লড়াই করছে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বালুচিস্তানের কোটায় ২০০ বছরের একটি মন্দির পুনরুদ্ধার করেছিল হিন্দু ধরামবলম্বী মানুষ।