নিজস্ব প্রতিবেদন: ওপার বাংলায় আজ ১১তম জাতীয় সংসদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এক দিনেই ২৯৯টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ হচ্ছে। বাকি একটি কেন্দ্র গাইবান্ধা-৩-তে জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে আগামী ২৭ জানুয়ারি ভোট হবে। সকাল ৮ নাগাদ শুরু হয় ভোটগ্রহণ। তবে, ভোটগ্রহণ শুরুর আগের থেকেই বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্ত হিংসার খবর মিলেছে। ভোট লুঠের অভিযোগও উঠেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- ফিলিপিন্সে ভয়াবহ ভূমিকম্প, রিখটার স্কেলে তীব্রতা ৭.২


রবিবার রাতে চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে বুথ দখলকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। পুলিস-দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয় একজনের। এই ঘটনার পিছনে জামায়াতের হাত রয়েছে বলে দাবি করে পুলিস। আজ ভোর ৫টা নাগাদ নোয়াখালি-৩ কেন্দ্রের একটি বুথের সরঞ্জাম লুঠ করার অভিযোগ ওঠে। ওই হামলায় আহত হয়েছে ৬জন। নির্বাচনী আধিকারিক রুহুল আমিন জানিয়েছেন, ভোর ৫টা নাগাদ পূর্ববাবুনগর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক দল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। লুঠ করে ভোটের সরঞ্জাম। ওই কেন্দ্র ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে।



রাঙামাটির কাউখালি এলাকায় বিএনপি-আওয়ামি লিগ সমর্থকদের সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে এক যুবলিগ নেতা। আহত হয়েছেন ১০ জন। জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা কামাল হোসেন বলেন, “বিভিন্ন জায়গায় হিংসার খবর মিলছে। উদ্বেগজনক ঘটনা।” কামাল হোসেন আরও দাবি করেন, ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না অনেককেই। আওয়ামি লিগের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে কামাল দাবি করেন, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন- বাঁদরের শ্লীলতাহানি! তিন বছর হাজতবাসের শাস্তি তরুণীর


বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সকাল ৮নাগাদ নিজের কেন্দ্র ঠাকুরগাঁও-১ ভোট দেন। এরপর সাংবাদিকদের বলেন, সুষ্ঠ পরিবেশে জনগণ ভোট দিতে পারলে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বিজয়ী হবে। উল্লেখ্য, এ বারের নির্বাচন সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য নজিরবিহীনভাবে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে বাংলাদেশকে। গোটা দেশে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে ৬ লক্ষ নিরাপত্তারক্ষী। ১০১৬ বাহিনী বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ, ৪২৯ বাহিনী সেনা, ৫০ বাহিনী নৌসেনা, ৪০ উপকূল রক্ষী বাহিনী এবং কয়েক হাজার পুলিস মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নকেও নামানো হয়েছে। রবিবার ৪০,০০০ ভোটকেন্দ্রে ভোট দিচ্ছেন বাংলাদেশের প্রায় ১০ কোটি ভোটার। এর মধ্যে রয়েছে ৪৩ লক্ষ নতুন ভোটার।