Bangladesh Flood: ভয়াবহ! তিস্তা নদীর জল বাড়ায় আতঙ্কে বাংলাদেশের লক্ষাধিক মানুষ...
Bangladesh Flood: তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী, করতোয়া, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র-সহ অসংখ্য নদনদীবিধৌত রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও তিস্তার জল বিপদসীমা পেরিয়ে নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে।
সেলিম রেজা: উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর টানা বৃষ্টির জলে ফুলেফেঁপে উঠেছে বাংলাদেশের উত্তরের নদনদীগুলি। বিশেষ করে তিস্তা, ঘাঘট, যমুনেশ্বরী, করতোয়া, ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্র-সহ অসংখ্য নদনদীবিধৌত রংপুর অঞ্চলের পাঁচ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও তিস্তার জল বিপদসীমা পেরিয়ে নদীতীরবর্তী চরাঞ্চলে ঢুকে পড়েছে। স্বল্পমেয়াদি বন্যার সঙ্গে দেখা দিয়েছে নদী ভাঙনের আশঙ্কা।
জলবৃদ্ধি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে উঠতি আমন ধান ও শীতকালীন শাকসবজির ক্ষেত-সহ ডুবেছে বিভিন্ন ফসলি জমি। এর প্রভাব পড়েছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার পাশাপাশি রেলপথেও। বাংলাদেশের রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, নীলফামারি ও গাইবান্ধা জেলার নদ-নদীর কুলঘেঁষা চর ও চরদ্বীপ-সহ লোকালয়ের লক্ষাধিক মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বাংলাদেশের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, রংপুরে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে জলপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ২৯.৫৮ সেন্টিমিটার। যা (স্বাভাবিক ২৯.৩১ সেন্টিমিটার) বিপদসীমার ২৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এদিকে তিস্তা নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বাংলাদেশের রংপুরের তিন উপজেলায় অর্ধশতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়ে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ জলবন্দি হয়ে পড়েছেন। গ্রামের বাসিন্দারা জানান, নদীর জলবৃদ্ধি হওয়ার ফলে তাঁরা ভাঙন-আতঙ্কে আছেন, জল কমতে শুরু করলেই ভাঙন শুরু হবে। ইতোমধ্যে অনেক বাড়িঘর ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গিয়েছে। বাংলাদেশের জল উন্নয়ন বোর্ড জানায়, দুপুরের দিকে জল সামান্য কমলেও সন্ধ্যা থেকে তিস্তার জল আবারও বাড়ছে। তাই চরাঞ্চলবাসীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে ইতোমধ্যে জল উন্নয়ন বোর্ডের সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। সবাই এখন যে যার জায়গায় নিজের-নিজের দায়িত্ব পালন করছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।