Bangladesh News: নতুন সংসদে অখণ্ড ভারতের ম্যাপে বাংলাদেশের অংশ, দিল্লির কাছে ব্যাখ্য়া চাইল ঢাকা
Bangladesh News: কেন এই বিতর্ক? বাংলাদেশের বিরোধী ন্যাশনালিস্ট পার্টি এনিয়ে দেশে শোরগোল শুরু করে। তাদের বক্তব্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভারতের ম্যাপে দেখানো হয়েছে। ভারত মুলার বলে যা বলতে চাইছে তা আসলে বাংলাদেশের অখণ্ডতার উপরে আঘাত
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নতুন সংসদ ভবনে অখন্ড ভারতের ম্যাপ নিয়ে বিতর্ক বাধল বাংলাদেশের সঙ্গে। সেই ম্যাপ কেন বাংলাদেশকে রাখা হয়েছে তা ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। সে দেশের বিদেশ দফতরের মন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আহমেদ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশের দূতাবাসকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলতে বলা হয়েছে। তবে এনিয়ে গত শুক্রবার একটি ব্যাখ্যাও দিয়েছে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী। তিনি বলেছেন, যে ম্যাপ বা মুরাল দেখানো হয়েছে তা মৌর্য যুগের।
আরও পড়ুন-ডিউক বলে তিনি বিপক্ষের ত্রাস, বিশ্বযুদ্ধে কতটা ভয়ংকর হতে পারেন বোল্যান্ড?
সোমবার বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়মে সেদেশের বিদেশমন্ত্রী শাহরিয়ার আহমেদ বলেন, ভারতের ম্যাপ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে তা নিয়ে বসে নেই বাংলাদেশ সরকার। এনিয়ে দিল্লিতে বাংলাদেশের দূতাবাসকে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের কাছ থেকে ব্য়াখ্যা চাইতে বলা হয়েছে। এনিয়ে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের কী বক্তব্য তা জানা প্রয়োজন। এখনওপর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তা হলে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন, যে ম্যাপ ভারতের সংসদ ভবনে টাঙানো হয়েছে তা মৌর্য আমলের। সময় হল যিশুখ্রিষ্টের জন্মের ৩০০ বছর আগেকার। ওই ম্যাপের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। এদিকে, কেন্দ্রের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী ওই ম্যাপ ট্যুইট করে জানিয়েছেন, উদ্দেশ্য স্পষ্ট-অখণ্ড ভারত।
কেন এই বিতর্ক? বাংলাদেশের বিরোধী ন্যাশনালিস্ট পার্টি এনিয়ে দেশে শোরগোল শুরু করে। তাদের বক্তব্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ভারতের ম্যাপে দেখানো হয়েছে। ভারত মুলার বলে যা বলতে চাইছে তা আসলে বাংলাদেশের অখণ্ডতার উপরে আঘাত। রাজনৈতিক মহলের দাবি, বাংলাদেশের তরফে বিষযটির ব্যাখ্যা চাওয়া প্রমাণ করে শেখ হাসিনা সরকার বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছে।
ওই ম্য়াপ নিয়ে সরব হয়েছে বিএনপি। দলের মহাসচিব ফকরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অন্য দেশের মানচিত্রে আমাদের দেশের অংশ দেখানো বাংলাদেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমতার উপরে আঘাত। এনিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিও।
উল্লেখ্য়, গত ২৮ মে প্রধাননমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নতুন পার্লামেন্ট ভবনের উদ্বোধন করেন। ওই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর প্রতিবাদে ওই অনুষ্ঠান বয়কট করে বিরোধীরা।