খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফাতারি পরোয়ানা
সংবাদ সংস্থা: বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা বিরোধী দলনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফাতারি পরোয়ানা জারি করল বাংলাদেশের আদালত। জিয়ার দল বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি-র অভিযোগ, হাসিনা সরকারের চক্রান্তেই এটা হচ্ছে। আগামী বছরেই বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এমন পরিস্থিতে বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেফাতারি পরোয়ানার বিষয়টি রাজনৈতিক ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন- ইমরান খানের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা
সরকারি আইনজীবী আব্দুলাহ আবু অবশ্য জানাচ্ছেন, দুটি ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ অমান্য করার জন্যই বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। মানহানি সংক্রান্ত একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে সমন পাঠায় আদালত। একবার নয়, একাধিকবার আদালতের নির্দেশেও বিচারকের সামনে এসে উপস্থিত হননি বিরোধী নেত্রী। একই সঙ্গে অনাথ আশ্রমের জন্য বরাদ্দ টাকার তছরূপ করার অভিযোগও রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিশেষ দুর্নীতি বিরোধী আদালত এই বিষয়েও কোর্টে হাজির হতে নির্দেশ দেয় বেগম জিয়াকে। তিনি আদালতের এই নির্দেশও অমান্য করেছেন। এরপরই দুই আদালতের বিচারক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফাতারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালত অবমাননা, আর্থিক দুর্নীতি ছাড়াও বাংলাদেশের বিরোধী দলনেত্রীর বিরুদ্ধে রয়েছে ২০১৫-তে বাসে আগুন লাগানো এবং গণ্ডগোল বাধানোর মতো অভিযোগও।
আরও পড়ুন- হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পেশ করতে না পারায় আদালতে তিরস্কৃত পাক সরকার
উল্লেখ্য, এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও বহুবার বাংলাদেশ ন্যাশনাল পার্টি'র নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। প্রতিবারই আদালতের নির্দেশ মত কার্যনির্বাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ পুলিস। এখন বেগম খালেদা জিয়া লন্ডনে নিজের ছেলের বাড়িতে রয়েছেন। খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারে বাংলাদেশ প্রশাসন কী ভূমিকা গ্রহন করে, সেটাই এখন দেখার।