জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কখনও ভাবেননি যে একটা চাকরি পাবেন। যদিও বা পেয়ে যাবেন তাও সেটা পুলিসে। অথচ এই অসাধ্য সাধনটাই করে ফেলেছেন হাসানুর রহমান। ভিখারির ছেলে হয়ে কনস্টেবল পদে নিয়োগ পেয়েছেন তিনি। আর তাতেই যারপারনাই খুশি। হাসানুর বলেন, 'আমার বাবা ভিক্ষা করত, আর মা রাজমিস্ত্রীর কাজ। সংসারে খুব অভাব থাকায় বাবা-মা রেখে দেয় আমাকে অনাথ আশ্রমে।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন, Bangladesh News: ইছামতী থেকে ভেসে উঠল লাশ, গায়ে জড়ানো ৫ কেজি সোনা!


সেখানেই বেড়ে ওঠা, পড়াশোনা করা হাসানুরের। এরপর আচমকাই মৃ্ত্যু হয় তার বাবার। পরে মা বিয়ে করে চলে যায় অন্যত্র। চিন্তায় ভেঙে পড়ে সে। 'কী হবে আমার, কে দেখবে আমাকে।' এ ভাবেই কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন কুড়িগ্রামে পুলিসের ট্রেনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগপ্রাপ্ত মো. হাসানুর রহমান (১৯)। তবে শুধু হাসানুর রহমান নন, কুড়িগ্রামে আরও ৫১ জন ছেলে-মেয়ের চাকরি হয়েছে কনস্টেবল পদে। 


হাসানুর রহমান বলেন, সরকারি চাকরি কে না পেতে চায়, সবাই চায়। যার কপালে চাকরি থাকে তার হয়ে যায়। কী যে ভালো লাগছে ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আমার যে পুলিসে চাকরি হবে স্বপ্নেও ভাবিনি। আমি দীর্ঘ ১৩-১৪ বছর থেকে অনাথ আশ্রমে বড় হয়েছি। শুধু আমি নই, আমার বড় বোনও সেখানে মানুষ হয়েছে। আজ যদি আমার বাবা বেঁচে থাকত, কতই না খুশি হত। 


এক বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে হাসানুর দ্বিতীয়। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় থাকেন তিনি। হাসানুর রহমান কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার সুখাতি বোর্ড ঘর এলাকার মৃত মোজাম্মেল হকের ছেলে।  


সূত্র- কালের কণ্ঠ 



আরও পড়ুন, Frankfurt | Germany: রমজানের আলোয় সেজে উঠল জার্মানি! ইতিহাসে এই প্রথম...


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)