নিজস্ব প্রতিবেদন: ''আমার মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করবো না। আমার ভেতরের যন্ত্রণাগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। আমি আর সহ্য করতে পারছি না। প্রাণটা পালাই পালাই করছে...।'' কয়েকটা কথা লিখেই তিনি এই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। দীর্ঘদিনের অশান্তি, মন খারাপ, ডিপ্রেশন আর সহ্য করতে পারেননি। ভিতরে ভিতরে ভেঙে পড়ছিলেন তিনি। কেউ খোঁজ নিয়েছিল কি? নিলে হয়তো ৩১ বছর বয়সী শাহ মহম্মদ কুদ্দুসের এমন করুণ পরিণতি হত না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তাঁর নিজের নামে ইস্যু করা রিভলভার থেকে গুলি ছুড়ে আত্মহত্যা করলেন কুদ্দুস। বাংলাদেশের হবিগঞ্জের মাধবপুরের বহরা রসুলপুরে তাঁর বাড়ি। ঢাকার মিরপুর-১৪ নম্বর পুলিশ লাইনের মাঠে তিনি আত্মহত্যা করেন। সতীর্থরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরেই সাংসারিক অশান্তিতে ভুগছিলেন কুদ্দুস। আর তার জন্য বহুদিন ধরেই মন মরা থাকতেন তিনি। সেভাবে কাউকে মনের কথা খুলে বলতে পারেননি। তবে কুদ্দুস যে এমন চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিয়ে ফেলবেন তা আন্দাজ করতে পারেননি তাঁর সহকর্মীরা। দীর্ঘদিন দুঃখ, যন্ত্রণা কখন যে ডিপ্রেশন-এর জন্ম দিয়েছে তাঁর মধ্যে, কেউ আন্দাজ করতে পারেননি হয়তো।


আরও পড়ুন-  পাকিস্তানের আকাশে পাক খাচ্ছে এলিয়েন! বালাকোট হামলার আতঙ্ক ছড়ালো লাহোরে


কুদ্দুস তাঁর সুইসাইড নোটে আরও লিখেছেন, ''পাত্রী পছন্দ করার আগে পাত্রীর মা ভালো কি না সঠিকভাবে খবর নেবেন। কারণ পাত্রীর মা ভালো না হলে পাত্রী কখনোই ভালো হবে না। ফলে আপনার সংসারটা সুন্দর হবে না। সুতরাং সকল সম্মানীত অভিভাবগণের প্রতি আমার শেষ অনুরোধ, বিষয়টি বিশেষভাবে গুরুত্ব দেবেন।''