ওয়েব ডেস্ক : টানটান উত্তেজনা। রুদ্ধশ্বাস প্রতি মুহূর্ত। সন্ত্রাসের নিশানা বাংলাদেশ। গুলশনের মতো হাইসিকিউরিটি জোনে জঙ্গি হানা, বিদেশি নাগরিকদের পণবন্দি করে রাখার ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। ক্রাইসিস চলছে ১২ ঘণ্টারও বেশি। জঙ্গি-নিধনে শুরু হয়ে গিয়েছে সেনার ফাইনাল অ্যাসল্ট। পণবন্দিদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

অভিযানে নেমেছে RAB-এর কমান্ডোবাহিনী। প্রায় শখানেক কমান্ডো এই অপারেশনে সামিল বলে জানা গেছে। প্রস্তুত বাংলাদেশের নৌসেনা, বিমানবাহিনীও। নতুন করে ফের শুরু হয়েছে গুলির লড়াই। সাঁজোয়া গাড়ি, ট্যাঙ্ক, সবই তৈরি হোলে অর্টিসান বেকারির সামনে। এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের। তৈরি রাখা হয়েছে দমকল, অ্যাম্বুলেন্স।



গতকাল রাতে  হঠাতই সশস্ত্র আট-দশ জন যুবক গুলশনে হোলে অর্টিসান বেকারিতে ঢুকে পড়ে। ভিতরে তখন ঠাসা ভিড়। নিরাপত্তা বাহিনী বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতেই গুলিবর্ষণ শুরু করে জঙ্গিরা। প্রায় কুড়ি জনকে হামলাকারীরা পণবন্দি করে ফেলে। যাদের সিংহভাগ বিদেশি নাগরিক। কাল রাত থেকে দফায় দফায় চলছে গুলির লড়াই। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, মুহুর্মুহু ছোড়া হয় গ্রেনেডও। হামলার দায় স্বীকার করেছে জঙ্গিগোষ্ঠী ISIS। জানা যাচ্ছে, আল কায়দাও এর দায় নিয়েছে। এখনও পর্যন্ত চার জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ প্রশাসন। তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পুলিসের অ্যাসিস্টান্ট কমিশনার রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার ওসি সালাউদ্দিন আহমেদ। নিহতের তালিকায় নাম রয়েছে ইতালির দুই কূটনীতিকেরও। ঢাকার অধিকাংশ বিদেশি দূতাবাসই গুলশনে রয়েছে। কড়া নিরাপত্তাবেষ্টনীতে মোড়া এলাকা।


আরও পড়ুন, ঢাকায় হামলা