Bangladesh Unrest: ভারত গা-জোয়ারি ঝগড়া করলে চরম পদক্ষেপ করবে বাংলাদেশিরা!
Bangladesh Unrest: গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে ভারতের সঙ্গে এক রকম সম্পর্ক ছিল। ৫ আগস্টের পরে তা বদলে গিয়ে অন্যরকম হয়ে গিয়েছে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর উপর অত্যাচার ও প্রাক্তন ইস্কন সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে সুর চড়াচ্ছে ভারত। সরকারিভাবে প্রতিবাদের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। কলকাতার একটি হাসপাতাল বাংলাদেশের রোগীদের চিকিত্স করতে অস্বীকার করেছে। সবেমিলিয়ে বাংলাদেশ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে এপাড়ে। এবার নিয়ে মুখ খুলল বাংলাদেশ।
আরও পড়ুন-বদলের বাংলাদেশে বন্ধ হচ্ছে জনপ্রিয় সব ভারতীয় চ্যানেল?
বাংলাদেশের শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন মঙ্গলবার বলেন, ভারত বন্ধুত্বসুলভ আচরণ খারাপ করছে, পায়ে পড়ে ঝগড়া করলে বাংলাদেশের মানুষ আর ভারতমুখী হবে না। এদিন তিনি চাঁদপুরে এক সরকারি পরির্দশনে গিয়ে বলেন, ভারত যা করছে কোনও কারণ নেই। অন্য ধর্মালম্বী যারা আমাদের দেশে আছেন তারা আমাদের নাগরিক। আমরা তাদের ভালো-মন্দ দেখছি। ভারতের গণমাধ্যম যা করছে, দয়া করে এসব করবেন না। আমরা দুই-দেশ বন্ধুত্ব নিয়ে থাকতে চাই।
উল্লেখ্য, গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেন, গত ৫ আগস্টের আগে ভারতের সঙ্গে এক রকম সম্পর্ক ছিল। ৫ আগস্টের পরে তা বদলে গিয়ে অন্যরকম হয়ে গিয়েছে। এটাই হল বাস্তবতা। ভারতের মিডিয়া হঠাৎ করে একেবারে যেন ভয়ংকরভাবে লেগে পড়ল আমাদের বিরুদ্ধে। আমি এটা স্পষ্টভাবে এবং খোলাখুলিভাবে বলেছি, বিভিন্ন বিবৃতিতে সেটা উল্লেখ করেছি। ভারতের মিডিয়া যে ভূমিকা নিয়েছে, সেটা কোনো অবস্থাতেই দুটি দেশের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার জন্য সহায়ক নয়। তারা কেন এটা করছে, তারা ভালো বলতে পারবে। তৌহিদ আরও বলেন, এখানে তাঁর মনে হয় এ দেশের গণমাধ্যমের ভূমিকা নেওয়ার প্রয়োজন আছে। ভারতের গণমাধ্যমে যে মিথ্যাচার হচ্ছে, সেগুলোকে তুলে নিয়ে আসা ফ্যাক্ট চেকের টুলের মাধ্যমে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশে ভারতীয় সব টিভি চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী ওই রিট করেছেন বলে জানান তার আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান আইনজীবী। আবেদনে বাংলাদেশ কেবল টেলিভিশন নেটওয়ার্ক পরিচালনা আইন ২০০৬ এর ১৯ ও ২০ ধারা উল্লেখ করা হয়েছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)