নিজস্ব প্রতিবেদন: সুতোর উপর ঝুলছে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ভাগ্য। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত যে রেজাল্ট এসেছে, তাতে বিরোধী ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট দল বেঞ্জামিনের লিকুদ থেকে এক কদম এগিয়ে। পরিস্থিতি যা ত্রিশঙ্কুর পথে যাচ্ছে ১২০ আসন বিশিষ্ট ইজ়রায়েলের পার্লামেন্ট কেন্যাসেট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এখনও পর্যন্ত ৪,২১২,৩১০ ভোট গণনা হয়েছে। ভোটদাতার প্রায় ৬৬ শতাংশ। এখন গণনা চলছে ইজ়রায়েলি সেনা জওয়ানদের ভোট। আজই স্পষ্ট হয়ে যাবে ইজ়রায়েল দক্ষিণপন্থী না বামপন্থী জোটের হাতে থাকবে। উল্লেখ্য, বেগতিক দেখে রাষ্ট্রসঙ্ঘে বক্তৃতা দেওয়ার জন্য সফর বাতিল করেছেন বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত এক দশকে নজিরবিহীন ঘটনা বলে মনে করছেন সে দেশের রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।



প্রত্যেক বছরই রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় অংশগ্রহণ করেছেন নেতানিয়াহু। কিন্তু এবার তিনিই ক্ষমতায় থাকবেন কি-না সন্দেহের অবকাশ রয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি রেজাল্ট আসার পর। নেতানিয়াহু খোদ বলেছেন, আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাঁর ক্ষমতায় থাকা প্রয়োজন ছিল। দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণে আন্তর্জাতিক স্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারেন তিনি। তবে, যদি তাঁর দল লিকুদ ক্ষমতায় না থাকে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হবে। আরব সমর্থিত জয়েন্ট লিস্ট দলের সঙ্গে জোট বেঁধে যেই সরকার গড়ুক তা বিপজ্জনক হয়ে দাঁড়াবে।



আরও পড়ুন- আবার ধাক্কা খেল পাকিস্তান, কাশ্মীরে ভারত বেশ করেছে, জানিয়ে দিল ইউরোপিয় ইউনিয়ন


নির্বাচনের আগে গত এপ্রিলে তৈরি হয় ব্লু অ্যান্ড হোয়াইট দল। ওই দলের প্রধান মুখ বেনি গনত্জ টক্কর দিচ্ছেন দুঁদে রাজনীতিক তথা এক দশকের বেশি থাকা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে। জানা যাচ্ছে, যদি লিকুদের সঙ্গে ব্লু অ্যান্ড হোয়াইটের জোট করে সরকার তৈরি করে, তা হলে বেঞ্জামিনকে ইস্তফা দিতে হতে পারে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিশঙ্কু সরকার তৈরি হলে নির্ণায়কের ভূমিকা নিতে পারে ইজ়রায়েল বেতেনু দল। এখনও পর্যন্ত তাদের হাত আসন সংখ্যা ৯। ওই দলের নেতা লিবারম্যান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, জোট সরকারই একমাত্র বিকল্প পথ। ধর্মনিরপেক্ষ সরকার তৈরি করারই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।