নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত-ব্রিটেন টানটান লড়াই হতে চলেছে আজ মধ্য রাতে। আন্তর্জাতিক আদলতের বিচারপতি নির্বাচনের দৌড়ে শেষ রাউন্ডে  মুখোমুখি হচ্ছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দলবীর ভাণ্ডারী এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিক আদলতে বিচারপতি হিসাবে কর্মরত ক্রিস্টোফার গ্রিনউড। গত ১১ টি রাউন্ডে রাষ্ট্র সংঘের সাধারণ সভার মোট সদস্যের দুই-তৃতীয়াংশ ভোট পেয়েছেন দলবীর ভাণ্ডারী। কিন্তু নিরাপত্তা পরিষদে গ্রিনউডের থেকে এখনও ৯টি ভোটে পিছিয়ে রয়েছেন বিচারপতি দলবীর ভাণ্ডারী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্রিটেন নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হওয়ার দরুন  এগিয়ে রয়েছেন গ্রিনউড, এমনটাই মনে করছে কূটনৈতিক দুনিয়া। সেক্ষেত্রে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়ায় পরোক্ষে চাপ সৃষ্টি করছে সেদেশের মে সরকার।


আরও পড়ুন- দক্ষিণ আফ্রিকায় কনসাল জেনারেলের বাড়িতে সশস্ত্র ডাকাতি!


এই মুহূর্তে সাধারণ সভার ১৯৩ সদস্যের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশের (১২৮-র বেশি) ভোট পেয়েছেন দলবীর ভাণ্ডারী। অন্যদিকে, নিরাপত্তা পরিষদে ৬টি ভোট বিচারপতি ভাণ্ডারীর পকেটে। তবে, এই ভোট পরিবর্তনশীল বলে সূত্রের খবর। নিরাপত্তা পরিষদে গ্রিনউড এগিয়ে থাকলেও শেষ রাউন্ডে অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে। সেই আশায় বুক বাঁধছে ভারত।


আরও পড়ুন- সেনা অভ্যুত্থানের পর নিজের দল থেকেই বিতাড়িত মুগাবে, উত্সবের মেজাজে জিম্বাবয়ে


আন্তর্জাতিক আদালতে দলবীর ভাণ্ডারী বিচারপতি নির্বাচিত হলে, ভারতের কী সুবিধা হবে? কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিসেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক আদালতে  কূলভূষণ যাধবের  শুনানি হওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে বিচারপতির পদে কোনও ভারতীয় থাকলে কিছুটা চাপে থাকবে পাকিস্তান। অন্যদিকে এই মুহূর্তে নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্যও নয় ভারত। রাষ্ট্রসংঘে আরও একটি প্রতিনিধি পাঠাতে পারলে কূটনৈতিক স্তরে ভারতের অবস্থান আরও মজবুত করতে পারবে বলে ধারনা বিশেষজ্ঞদের। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, “বিশ্বের দরবারে ভারতের ওজন এবং গুরুত্ব দুটোই রয়েছে। সেক্ষেত্রে এটি সম্মানের জয় তো বটেই।”