Bhutan Economic Crisis: পিঠে ব্যাগ বেঁধে আপনি ভুটানে গিয়ে পা না রাখলে হয়তো বাঁচবে না দেশটি...
দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে থাকে পর্যটনশিল্পের উপর ভিত্তি করেই। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধের কারণে অতিমারী শুরুর পর থেকেই প্রায় পর্যটনশূন্য হয়ে পড়েছিল ভুটান। সে অবস্থা এখনও স্বাভাবিক হয়নি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: করোনা নানা দেশকে নানা ভাবে বিপর্যস্ত করে গিয়েছে। কিন্তু সবার ক্ষেত্রেই একটা বিষয় কমন। অর্থনৈতিক বিপর্যয়। যেমন, ভুটানে। সেখানে এতদিন পরে অর্থনৈতিক সংকট অনুভূত হচ্ছে। কেননা, করোনা ও করোনার জেরে ঘটা লকডাউনের সূত্রে ভুটানের পর্যটন দারুণ ভাবে মার খেয়েছে। জানা গিয়েছে, ভুটানের সঞ্চিত বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ এবার কমে এসেছে। তাই চিন-ভারত সীমান্তে অবস্থিত ভুটান এখন অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কায় বলে উল্লেখ করছেন সেদেশের অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। দেশটি ক্রমহ্রাসমান বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাঁচাতে প্রয়োজনীয় নানা পদক্ষেপ করা হয়েছে। যেমন, যানবাহন, মেশিন এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ছাড়া অন্য সব যানবাহন আমদানি নিষিদ্ধ করতে চলেছে সে দেশের সরকার। ভুটান সরকারের এক বিজ্ঞপ্তি মারফত শুক্রবার এ কথা জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: Shelling on North Syria:সিরিয়ায় দু'টি হামলা! কামানের গোলায় শিশু-সহ নিহত ১৯
আট লক্ষেরও কম জনসংখ্যার দেশটির অর্থনীতি অনেকটাই দাঁড়িয়ে থাকে পর্যটনশিল্পের উপর ভিত্তি করেই। কিন্তু করোনা বিধিনিষেধের কারণে অতিমারী শুরুর পর থেকেই প্রায় পর্যটনশূন্য হয়ে পড়েছিল ভুটান। সে অবস্থা এখনও ততটা স্বাভাবিক হয়নি। এদিকে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে গম ও তেলের দামও বেড়েছে। সব মিলিয়েই ভুটানের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ সংকটের মুখে পড়েছেন।
২০২১ সালের এপ্রিলে ভুটানের হাতে ছিল ১৪৬ কোটি মার্কিন ডলার। আট মাসের মধ্যে গত ডিসেম্বরে ভুটানের হাতে সেই রিজার্ভ কমে এসে দাঁড়ায় ৯৭ কোটি মার্কিন ডলারে।
ভুটানের স্থানীয় সংবাদসূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছরের জুন পর্যন্ত ভুটান আট হাজারেরও বেশি বিদেশি গাড়ি আমদানি করেছে। এটিও বিদেশি মুদ্রা কমে আসার প্রধান কারণগুলির অন্যতম বলে মনে করা হচ্ছে। দুর্বল অর্থনীতিকে দ্রুত চাঙ্গা করতে না পারলে ভুটানের অবস্থাও শ্রীলঙ্কার মতোই হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
বিশ্বের অন্যতম সুন্দর দেশ ভুটান। বিশ্বের অন্যতম সুখী দেশ বলেও সে বিশ্বে বন্দিত। সারা পৃথিবীর নানা পর্যটক মিষ্টি সুন্দর ছবির মতো এই দেশটিকে একবার দেখতে যান। আশা করা যায়, আবারও তেমন ঘটতে থাকলে অচিরেই সামলে উঠবে ভারতের এই সুন্দর প্রতিবেশীটি।