ব্যুরো:পেটের তাগিদে ভিনরাজ্যে যাওয়া। তাই কাল হল। ভুটানের সামসিংয়ে নির্মীয়মাণ সেতু ভেঙে দুর্ঘটনায় পড়লেন, মালদার ১৮ জন শ্রমিক। কোনওক্রমে প্রাণে বাঁচেন ৯ জন। বাকি ৯ জনের মধ্যে, এখনও পর্যন্ত ২ জনের দেহ মিলেছে। নিখোঁজ সাত। দুশ্চিন্তা-আশঙ্কা-শোকে পাথর গোটা গ্রাম।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই বর্ষায় দুরন্ত তোর্সা। ভুটানে এই নদীর ওপরেই সেতু তৈরির কাজে যান সিরাজুল, বাহারুল, লাকিব, মিঠুনরা। কিন্তু ফেরা হল না এদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের। রতুয়া ও ইংরেজবারের নাগরাই ও আড়াইডাঙা গ্রাম থেকে প্রায় ২৪ জন যুবক ভুটানে যান। দিনে ৩০০ টাকা মজুরির বিনিময়ে ঠিকা শ্রমিকের চুক্তিতে কাজ করছিলেন তাঁরা। কাজ শেষের মুখেই ঘটে গেল দুর্ঘটনা। 


ভেঙে পড়ল নির্মীয়মাণ সেতু। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনার প্রতি মুহুর্ত মনে গেঁথে গিয়েছে আজহার আলির। ছিলেন সেই অভিশপ্ত ব্রিজে। তবে কোনওমতে প্রাণে বেঁচে যান। ভাঙা পা নিয়ে গ্রামে ফিরেও এসেছেন। কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা? ভাবলে এখনও শিউরে উঠছেন তিনি। 


তবে অনেকেই আছেন, যারা ফিরতে পারলেন না। গ্রামে ঘরে ঘরে এখন শোকের ছায়া। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সক্রিয় স্থানীয় প্রশাসনও। যোগাযোগ রাখা হচ্ছে ভুটান সরকারের সঙ্গে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কোনও কাজ নেই এলাকায়। সরকারি স্তরে অনেক প্রতিশ্রুতি মেলে। কিন্তু আখেরে জোটে না কিছুই। সে একশো দিনের কাজই হোক বা অন্য কোনও উপায়ে কর্মসংস্থান। তাই জীবনের ঝুঁকি নিয়েও রুটিরুজির জন্য বাধ্য হয়ে যেতে হয় ভিনরাজ্যে। আক্ষেপ স্বজন হারানো ওই পরিবারগুলির।