নিজস্ব প্রতিবেদন: পাঁচ বছরের জেল মায়ের। ১০ বছর ছেলের। এই অবস্থায় বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (বিএনপি)-র ভবিষ্যত্ কী হবে, এ নিয়ে তুমুল জল্পনা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের রাজনৈতিক মহলে।  বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছর এবং তাঁর ছেলে তারেক রহমানকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় বাংলাদেশ আদালত। সামনেই দেশের সাধারণ নির্বাচন। এই মতাবস্থায় দলের সেনাপতি জেলে থাকলে দলের ভবিষ্যত্ কী হবে? এ নিয়ে ইতিমধ্যেই ওপার বাংলায় বিভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বাশারের শ'খানেক সেনা খতম করল মার্কিন সেনা বাহিনী


বিএনপি-র নেতারা কিন্তু কোনওভাবেই ভেঙে পড়ছেন না বলে জানা যাচ্ছে। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে বিএনপি-র এক নেতা জানিয়েছেন, দল আশা রাখছে খুব শীঘ্রই খালেদা জামিন পাবেন। জামিনে মুক্ত করার জন্য ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দল। ওই নেতার কথায়, বিএনপি-র প্রধান সচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাময়িকভাবে দলের সিদ্ধান্ত রূপায়ন করবেন। তবে, নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নিতে হলে ঠিক করবে দলের স্থায়ী কমিটি। ওই বিএনপি নেতার আরও দাবি আগামী বেশ কয়েক দিনের পরিকল্পনা ঠিক করে দিয়ে গিয়েছেন খালেদা।


আরও পড়ুন- দুর্নীতি মামলায় ৫ বছরের জন্য জেলে গেলেন বেগম খালেদা জিয়া


বিদেশে থেকে খালেদার ছেলে তথা দলের ভাইস চেয়ারপার্সন তারেক মামুদও পরিচালনা করবেন বলে জানা যাচ্ছে। যদিও আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, তারেকের নাম করে কোনও বক্তব্য প্রকাশ্যে আনা যাবে না। প্রসঙ্গত, তারেক মামুদ এর আগে আরও একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এখন তিনি দেশ ছাড়া।


আরও পড়ুন- খালেদার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলার রায়ের আগে উত্তপ্ত ঢাকা


চলতি বছরের শেষের দিকে নির্বাচন হওয়ার কথা বাংলাদেশের। আইনি জটিলতায় খালেদা জিয়া জামিন না পেলে দলের আত্মবিশ্বাস হারাতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে, এ দিনের রায় বেশ খানিকটা বাড়তি অক্সিজেন পেল শেখ হাসিনার আওয়ামী লিগ, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


আরও পড়ুন- ফের আব্দুল হামিদই বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হলেন