ওয়েব ডেস্ক : গত শতাব্দীর ছ'য়ের দশকের আমেরিকা। তখন চলছে অস্থির সময়। একদিকে ভিয়েতনামের যুদ্ধের ক্ষত, অন্যদিকে বর্ণবিদ্বেষ বিরোধী আন্দোলন ক্রমশ গতি পাচ্ছে। প্রতিবাদে ফুঁসছে যুব সমাজের একাংশ। সেই অস্থির সময় ফুটে উঠেছিল এক শিল্পীর কলমে। তিনি রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান। বিশ্ব যাঁকে চেনে বব ডিলান নামে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নোবেল পেলেন ডিলান


হাতে গিটার বা হারমোনিকা। কখনও যুদ্ধের বিরোধিতা। কখনও যুব প্রজন্মের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে ক্ষোভ বিক্ষোভ। চারপাশের অস্থিরতা, আশা আকাঙ্খা উঠে এসেছে বব ডিলানের গানে। আমেরিকা মুগ্ধ তাঁর সঙ্গীতের কাব্যিক ব্যাঞ্জনায়। তারই স্বীকৃতি দিল নোবেল কমিটি।


ডিলান বৃত্তান্ত


১৯৪১ সালে ২৪ মে আমেরিকার মিনেসোটায় জন্ম।
স্কুল ব্যান্ডে সঙ্গীত জীবনের শুরু।
মিনোসেটায় কফি হাউসে পেশাদার শিল্পীজীবনের সূত্রপাত।
নিউ ইয়র্কে আসেন ১৯৬১ সালে। এরপরেই ক্রমশ শিল্পী হিসাবে তাঁর জনপ্রিয়াতা ছড়িয়ে পড়ে।
সেসময় এলভিস প্রিসলে এবং লিটল রিচার্ডের প্রভাব পড়েছিল ডিলানের ওপর।
রক অ্যান্ড রোল থেকে একসময় আমেরিকার লোকসঙ্গীতের দিকে ঝোঁকেন ডিলান।
কবি ডিলান টমাসের অনুরাগী হিসেবে নিজের নাম বদলে বব ডিলান রাখেন।


BLOWING IN THE WIND, THE TIMES-THEY ARE CHANGING, MASTERS OF WAR


ছয়ের দশকে ডিলানের কালজয়ী এই সব গান মুগ্ধ করেছিল মার্কিনিদের। ডিলানের কথায় নিজেদের ক্ষোভ, যন্ত্রণার প্রকাশ খুঁজে পেয়েছিল আমেরিকার যুবসমাজ। আমেরিকার গণ্ডি ছাড়িয়ে ডিলানের প্রভাব ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বজুড়ে।


ছয়ের দশকের পথচলা আজও চলছে সমান ছন্দে। বব ডিলানের কলম, তাঁর কণ্ঠ এখনও সচল। সঙ্গীতের জগতে দীর্ঘ পাঁচ দশকেরও বেশি সময় জুড়ে তাঁর বিচরণ। সেই অন্তহীন সৃজনের স্বীকৃতি হিসাবেই এল নোবেল পুরস্কার। তবে এখানেই চলার শেষ নয়। হয়ত এ এক নতুন আরম্ভ।


আর তাই হয়তো তাঁকে নিয়ে অঞ্জন দত্তর বিখ্যাত লাইন, "একটা বন্ধু হবে কি বল তুমি আমার।"


বহুবার গানের সুরে ও কথায় তাঁর শিল্পী সত্ত্বাকে নতুন করে খুঁজে পেয়েছেন তিনি। নতুন দিশায় এগিয়েছে তাঁর সৃষ্টি। আগামী দিনেও নতুন ছন্দ আর সুরে গোটা বিশ্বকে মুগ্ধ করে রাখবেন এই ভুবনজয়ী সুরস্রষ্টা, আশা সঙ্গীতপ্রেমীদের।