আমাজনের বিধ্বংসী আগুন নেভাতে G-7 এর ১৪৩ কোটি টাকার সাহায্য নিল না ব্রাজিল
আমাজনের জঙ্গলকে `নো ম্যানস ল্যান্ড` মনে করছে সবাই।
নিজস্ব প্রতিবেদন : সোমবার ফ্রান্সের জি সেভেন সম্মেলনে অন্যতম আলোচনার বিষয় ছিল আমাজনের বিধ্বংসী আগুন। আগুন নেভাতে প্রায় ১৪৩ কোটি টাকার আর্থিক সাহায্য করারও সিদ্ধান্ত নেন সাত দেশের বিশ্বনেতারা। কিন্তু সেই প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজি হলেন না ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বলসনারো। এর আগে বলসনারো নিজেই জানিয়েছিলেন, আগুন নিয়ন্ত্রণ করার মতো আর্থিক সামর্থ্য তাঁর সরকারের নেই। অথচ সোমবার আর্থিক সাহায্যের প্রস্তাব পেয়েও তা ফিরিয়ে দিলেন বলসনারো।
আমাজনের রেন ফরেস্টে আগুন নিয়ে শুরু থেকেই ব্রাজিলের নিরুত্তাপ মনোভাবে ক্ষুব্ধ বিশ্বনেতারা। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রন দাবি করেন, সব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে আছেন বলসনারো। এর উত্তরে ম্যাক্রনকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করে বসেন বলসনারো। ফরাসি প্রেসিডেন্টের স্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে মস্করা করেন তিনি। আর তার ফলে আরও বৃদ্ধি পায় ফ্রান্স-ব্রাজিল বিরোধ।
এর পরেও ফ্রান্সের বিয়ারেটজের জি-সেভেন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে আমাজনের আগুন নিয়ে আলোচনাকে বিশেষ গুরুত্ব দেন ম্যাক্রন। আলোচনার শেষে সেনা পাঠিয়ে আগুন নেভাতে সাহায্যে করার প্রস্তাব দেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট। কানাডাও বিমানে জল বোমা পাঠাবে বলে জানায়। তার সঙ্গে আর্থিক সাহায্যও করা হবে বলে জানানো হয়। তবে, সব প্রস্তাব নিয়ে শুরু থেকেই আগ্রহ দেখায়নি ব্রাজিল সরকার। সোমবারই সাহায্য ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন বলসনারো।
আরও পড়ুন - G-7 বৈঠকের মাঝেই ব্রিটিশ প্রাইম মিনিস্টারকে অ্যাসেজে জয়ের খবর দিলেন নরেন্দ্র মোদী
একাধিক ইউরোপীয় দেশ আমাজনের জঙ্গলে আগুন নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ব্যবসায়িক স্বার্থে জমি দখল করার জন্যই ব্রাজিল সরকার পৃথিবীর ফুসফুস পুড়িয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন পরিবেশবিদরা। কিন্তু সে সব কথা কানে তুলছেন না বলসনারো। জঙ্গলের আগুনকে প্রাকৃতিক ঘটনা বলে দাবি করেন তিনি। গত শুক্রবার আন্তর্জাতিক চাপের মুখে পড়ে অবশ্য আগুন নিয়ন্ত্রণে সেনা পাঠাতে রাজি হন বলসনারো।
কেন অনুদান গ্রহণে নারাজ ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট? বলসনারো দাবি করেন, এই প্রস্তাব সাম্রাজ্যবাদী। এটি ব্রাজিলের নিজস্ব বিষয়। বলসনারো বলেন, "আমাজনের জঙ্গলকে 'নো ম্যানস ল্যান্ড' মনে করছে সবাই।" যদিও তাঁরই সরকারের পরিবেশমন্ত্রী এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। বলসনারো জানান, যুদ্ধকালীন তত্পরতায় আগুন নেভানোর কাজ চলছে। চলতি সপ্তাহের শেষেই জঙ্গল পরিদর্শনে যাবেন তিনি।